২৭ ডিসেম্বর, ২০১০:: আজ সোমবার সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজীরসুরা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতঘর পুড়ে ভস্মীভুত হয়েছে। জানা যায়, কাজীরসুরা গ্রামের আদেল খলিফার রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে সিরাজ দর্জির ২টি ঘর, কামাল বেপারির ১টি ঘরসহ ৪টি বসতঘর আগুনে পুড়ে যায়। এ সময় ঘরে রাখা ৪১ মণ পাট, ১৭ মণ রবিশস্যসহ প্রায় লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলাকাবাসীর ২ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফেরি রানীক্ষেত ডুবোচরে আটকা
২৭ ডিসেম্বর, ২০১০:: আজ সোমবার বিকেল ৩টায় ১৮টি যানবাহন ও সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি রানীক্ষেতে হাজরা ক্রোস চ্যানেলের মুখে আটকা পড়ে। সন্ধ্যা ৭টায় আইটি-র মাধ্যমে ফেরিটি উদ্ধার করে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়। বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে কমতে থাকায় প্রতিদিন দফায় দফায় আটকা পড়ছে রো রো ফেরিসহ ডাম ফেরিগুলো। এর ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার যাত্রীগণ।
শিবচরে বিদেশী পিস্তলসহ ৩ যুবক আটক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১০:: আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবচর থানার পুলিশ ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের ক্রোকচর নতুন বাজার থেকে আমেরিকার তৈরি একটি বিদেশী ৯এমএম পিস্তলসহ ৩ যুবককে আটক করেছে। জানা যায়, ক্রোকচর বাজারে ইকবাল হোসেন (৩০), খলিল (২৫), বিপ্লব (২৬) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবস্থান নেয়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবচর থানার পুলিশ এসআই আনোয়ার ও এসআই আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ক্রোকচর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে পুলিশ তিন যুবককে আটক করে তাদের দেহের বিভিন্ন স্থানে তল্লাসি চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ: রাজ্জাক পিপিএম জানান, সন্ত্রাসী ইকবাল ঢাকার টপ টেরর ডাকাত শহিদের সহযোগী। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর ভেড়িবাঁধ সম্প্রসারণে শিবচরে আরো ১২০ একর জমি অধিগ্রহণ
২৩ ডিসেম্বর, ২০১০:: পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভেড়িবাঁধ সম্প্রসারণ হবে। তাই সম্প্র্রসারিত অংশে অবৈধভাবে নতুন স্থাপনা তুলে সরকারের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে প্রতারকরা। এ অপতৎপরতা ঠেকাতে শিবচর অংশে ভেড়িবাঁধে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সতর্কীকরণ সভা চলছে। কিন্তু এর মাঝেও বেপরোয়া প্রতারকচক্র। সভাস্থলের মাত্র ১শ গজের মধ্যেই প্রতারক চক্র নির্মাণ করছে ঘর। একটি দুটি নয়, শত শত ঘর। আজ বৃহস্পতিবার শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নের পুরাতন জাহাজঘাটে সভাটি চলার সময় এ দৃশ্য দেখা গেছে। সভাশেষে সেতু কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে তালিকা করতে গিয়ে প্রথম বাড়ি অর্থাৎ মান্নান হাওলাদারের বাড়িতে গিয়েও ৩টি নতুন নির্মাণাধীন ঘর দেখতে পায়।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর জন্য নতুন করে শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নে ১২০ একর জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ খবর আগে থেকে জানতে পেরে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য শিবচরের এই এলাকায় একটি প্রতারকচক্র শত শত নতুন ঘর-বাড়ি নির্মাণ শুরু করে। এ খবর জানতে পেরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদবরচরের জাহাজঘাট মসজিদের সামনে সেতু কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন স্থানীয়দের সঙ্গে এক সভায় মিলিত হয়। সভায় নতুনভাবে অধিগ্রহণ হতে যাওয়া এই ১২০ একর জমিতে নতুন স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানায়। নতুনভাবে নির্মিত ঘর-বাড়ি ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে কঠোর নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। নতুন ঘর-বাড়ি নির্মাণ হলে সেগুলো জব্দ করা হবে বলে ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা। সভায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে সরকারি গেজেটের কাগজ দিয়ে কঠোর নির্দেশনা সংক্রান্ত বক্তব্য রাখেন পদ্মা সেতুর পুনর্বাসন বিশেষজ্ঞ মো. আক্তার হোসেন, মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শরীফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।
বন্দরখোলায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত
২৩ ডিসেম্বর, ২০১০:: শিবচরে স্বামী ও স্ত্রীকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেছে কতিপয় সন্ত্রাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার রাতে বন্দরখোলা ইউনিয়নের সেতু হাওলাদারের কান্দি গ্রামে। জানা যায়, করিম খা ও মজিদ মিয়াসহ আরও ৪-৫ সন্ত্রাসী রশিদ হাওলাদারের বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাডাকি শুরু করলে রশিদ ও তার স্ত্রী সালমা বেগম ঘর থেকে বাইরে আসে। মুহূর্তেই সন্ত্রাসীরা স্বামী ও স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে বাড়ির আঙিনায় ফেলে রেখে যায়।
শিবচরে টেম্পু চাপায় শিশু নিহত
১৯ ডিসেম্বর, ২০১০:: আজ রবিবার সন্ধ্যায় শিবচর-মাদারীপুর সড়কের যাদুয়ারচর নামক স্থানে আলী হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (৫) গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা গেছে। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে।
Read More ... »
দত্তপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
১৯ ডিসেম্বর, ২০১০:: আজ রবিবার সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নে বাদশাকান্দি গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে।
জানা যায়, চর বাচামারা গ্রামের খলিল শেখের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে দেলোয়ার শেখের ২টি, কহিনুর শেখের ১টি, রিজু শেখের ১টি, করিম শেখের ২টি, খলিল শেখের ২টি ঘরসহ দশটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এ সময় ঘরে রাখা ৮১ মণ পাট, ৩৩ মণ রবিশস্য, নগদ ৭৩ হাজার টাকাসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামালা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলকাবাসীর ২ ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, চর বাচামারা গ্রামের খলিল শেখের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে দেলোয়ার শেখের ২টি, কহিনুর শেখের ১টি, রিজু শেখের ১টি, করিম শেখের ২টি, খলিল শেখের ২টি ঘরসহ দশটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এ সময় ঘরে রাখা ৮১ মণ পাট, ৩৩ মণ রবিশস্য, নগদ ৭৩ হাজার টাকাসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামালা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলকাবাসীর ২ ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শিবচর পৌরসভা নির্বাচন-২০১১:মেয়র পদে ৫জন,কাউন্সিলর পদে ২৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল
১৮ ডিসেম্বর, ২০১০:: আজ শনিবার শিবচর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫জন এবং কাউন্সিলর পদে ২৯ জন মানোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা আকতার হোসেন খান একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, শিবচর পৌরনির্বাচনে মেয়র পদে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আ. লতিফ মোল্লা, শিবচর পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোঃ কবির গোমস্তা, শিবচর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ শাহাজাহান মোল্লা ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ বোরহান খান।
এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে: মোঃ আক্তার হোসেন খান; ২নং ওয়ার্ডে: মোঃ ভুট্টো মোল্লা, ও মোঃ শাজাহান মোল্লা; ৩নং ওয়ার্ডে কাজী মনিরুজ্জামান লিটন, শংকর চন্দ্র ঘোষ, শাহাদাত হোসেন খান, মোঃ তানজিল গোমস্তা; ৪নং ওয়ার্ডে: আলহাজ্ব মোঃ হানিফ খালাসি (কুট্টি খালাসি), আবদুল মান্নান বেপারী, মোঃ শাহীন গোমস্তা, মোফাজ্জেল হোসেন খান, মোঃ রফিকুল ইসলাম চঞ্চল; ৫নং ওয়ার্ডে: মোঃ মশিউর রহমান খান (মোস্তাক খান), মোঃ ইমরান খান; ৬নং ওয়ার্ডে: মোঃ দেলোয়ার হোসেন (দিলু গোমস্তা), মোঃ মোসলেম মোল্লা ও জেনিফার ফেরদৌস; ৭নং ওয়ার্ডে: মোঃ ওসমান খান, মোঃ শহিদুল ইসলাম, রেজোয়ানুল ইসলাম, মোঃ ইলিয়াস বেপারী, মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ নোয়াব বেপরী; ৮নং ওয়ার্ডে: সৈয়দ মোঃ আশরাফ উদ্দিন, মোঃ আজিজুর রহমান ও সেলিম শেখ; ৯নং ওয়ার্ডে: আবদুল কাদের খান মিলু, গোলাম মোস্তফা ও এ এফ এফ সামসুর রহমান।
এছাড়া সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর পদে ১-২-৩নং ওয়ার্ডে: মাকসুদা আক্তার (নিলু), নিলুফা ইয়াসমিন ও হেলেনা বেগম; ৪-৫-৬নং ওয়ার্ডে: রানু বেগম, সুহাদা আক্তার, শাহানারা বেগম; ৭-৮-৯নং ওয়ার্ডে: মজিদা মোস্তফা ও জাহানারা বেগম।
সুন্দরবনকে ভোট
১৬ ডিসেম্বর, ২০১০:: বিজয় দিবসের দিনে বৃহস্পতিবার সুন্দরবনকে সপ্তাশ্চর্য হিসেবে বিজয়ী করতে মাদারীপুরের শিবচরে প্যারেড মাঠে সরাসরি ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক নিউ ওপেন ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্ব প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নির্বাচনে ইন্টারনেট ও এসএমএসের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ভোট গ্রহণ চলছে। এ প্রতিযোগিতায় সুন্দরবনকে বিজয়ী করতে বৃহস্পতিবার শিবচরের হাতির বাগান প্যারড মাঠের এক পাশে সরাসরি এ ভোটের আয়োজন করে ন্যাচারাল ক্যাম্পেইন বাংলাদেশের মাদারীপুর শাখা। সকালে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় অসংখ্য কৌতূহলী মানুষকে ভোট দিতে দেখা যায়।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুট :: ঘনকুয়াশায় ৭ ঘণ্টা ফেরিসহ নৌযান চলাচল বন্ধ
১৬ ডিসেম্বর, ২০১০:: ঘন কুয়াশায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে ৭ ঘণ্টা ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে রুটটির সকল ফেরি নোঙ্গর করে রাখায় কনকনে শীতে যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহায়।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, বুধবার রাত বাড়ার সাথে সাথে ঘনকুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সিগন্যাল বাতি দেখতে না পাওয়ায় রাত ৩ টায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় রুটটির সব কয়টি ফেরি মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়। ফেরিগুলোতে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবহনের শিশু ও নারীসহ অন্তত প্রায় ৫ সহস্রাধিক যাত্রী আটকা পড়ে নদী-বুকের কনকনে শীতে চরম দূর্ভোগ পোহায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘনকুয়াশার প্রকোপ কমলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ফেরিসহ সকল নৌ চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় ঘাটে দু’শতাধিক যানবাহন আটকে ছিল।
বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট টার্মিনাল সহকারি মোঃ সেলিম আহমেদ বলেন, রাত ৩টা থেকে ফেরিসহ সকল নৌ চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ৭ টায় ১০ মিনিটের জন্য চালু হয়েছিল। এরপর আবার বন্ধ হয়ে যায়।
কাওড়াকান্দি-ভাঙ্গা রুটে লোকালবাস ও মাইক্রো চলাচল বন্ধ
১৫ ডিসেম্বর, ২০১০:: লোকাল বাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের সংঘর্ষের জের ধরে আজ বুধবার সকাল থেকে কাওরাকান্দি-ভাঙ্গা হয়ে সাত রুটে লোকাল বাস-মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষে এ পর্যন্ত পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর ও ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। হঠাৎ সাত রুটে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়ে যাত্রী ওঠানো নিয়ে লোকাল বাস শ্রমিকদের সঙ্গে কাওরাকান্দির মাইক্রোবাসচালকদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে ভাঙ্গা মোড়ে বাস শ্রমিকরা কাওরাকান্দির ১৫ চালককে মারধর করে। এ সময় তিনটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে শিবচরের কাওরাকান্দি ঘাটে ভাঙ্গার দুটি বাস ভাঙচুর করে কাওরাকান্দির মাইক্রোবাস শ্রমিকরা। হামলায় বেলাল মিয়া, রাসেল মাদবর, মিন্টু মিয়া, কাইয়ুম, তুষার, মামুন, কবিরসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়।কাওরাকান্দি মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি খোকা মাদবর বলেন, গত রাতে ভাঙ্গায় বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারপর আবার আজ বুধবার সকাল থেকে ভাঙ্গা মোড়ে বাস শ্রমিকরা ১০ মাইক্রোবাসচালককে মেরে আহত করেছে। ভাঙ্গা বাস মালিক সমিতির নেতা ফাইজুর রহমান বলেন, গত রাতে ভাঙ্গায় কাওরাকান্দির মাইক্রোচালকরা ভাঙ্গার বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাই আজ বাস শ্রমিকরা মাইক্রোবাস চলতে দিচ্ছে না।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
পদ্মায় ফের স্পিডবোট দুর্ঘটনা, আহত ১০
১৫ ডিসেম্বর, ২০১০:: কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌপথে শিবচরের কাঠালবাড়ি এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় স্পিডবোট দুটি ডুবে যায়। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে আলো ছাড়া পদ্মা নদী পার হতে গিয়ে অহরহ এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। ৮ ডিসেম্বর রাতে একই এলাকায় দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশের এক পরিদর্শকসহ দুজন মারা যান। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ছয় দিনের মাথায় ফের এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় লোকজন মনে করছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী মো. খায়রুজ্জামান জানান, গতকাল সন্ধ্যার অনেক পরে ১২ জন যাত্রী নিয়ে মাওয়া থেকে একটি স্পিডবোট কাওড়াকান্দি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। আর কাওড়াকান্দি থেকে যাত্রী নামিয়ে একটি খালি স্পিডবোট মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পদ্মার সরু চ্যানেলে ঢুকতেই দুটি বোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে যাত্রীরা ছিটকে পানিতে পড়ে যায়। পরে পেছন থেকে আসা একটি স্পিডবোট ও ট্রলার ভাসমান যাত্রীদের উদ্ধার করে কাওড়াকান্দি তীরে নিয়ে আসে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক রাতের আঁধারে স্পিডবোট চলাচল করায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্বীকার করেছেন। সন্ধ্যার পরে চলাচলকারী স্পিডবোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শিবচর পৌরসভায় লতিফ মোল্লা আ. লীগের মেয়র পদপ্রার্থী
শিবচর পৌরসভা নির্বাচনে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আ. লতিফ মোল্লাকে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে আটজনকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
পৌর নির্বাচনে দলের মনোনয়ন কমিটির ১১ সদস্য শনিবার বিকেলে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে আটটি ওয়ার্ডে আটজনকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । তাঁরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আক্তার হোসেন খান, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ভুট্টো মোল্লা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাকিল খান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আলহাজ মো. হানিফ খালাসি (কুট্টি খালাসি), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মশিউর রহমান খান মোস্তাক খান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইলিয়াস মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ মো. আশরাফ মীর, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাউন্সিলর আবদুল কাদের খান মিলু।
শিবচরে ইজি বাইকের চাপায় শিশু নিহত
১২ ডিসেম্বর, ২০১০:: আজ রবিবার সন্ধ্যায় শিবচর-পাঁচ্চর সড়কের খেজুরতলা নামক স্থানে ইজি বাইকের চাপায় শংকর কণ্ডুর শিশুপুত্র সাগর (৫) ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে।
বন্দরখোলা ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ড ৩টি বসত ঘর পুড়ে ছাই
১২ ডিসেম্বর, ২০১০ :: আজ রবিবার বিকেলে শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসুরা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভুত হয়েছে।
জানা যায়, কাজিরসুরা গ্রামে বারেক মুন্সীর রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় চান মিয়া মুন্সীর ২টি বসতঘরসহ ৩টি বসতঘর পুড়ে যায়। ঘরে রাখা ২২ হাজার টাকা, ২৭ মণ পাটসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকাবাসীর ২ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শিবচরে আমন ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭
১২ ডিসেম্বর, ২০১০ :: আজ রবিবার সকালে শিবচর উপজেলার রজব আলী মুন্সীর কান্দি গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমির আমন ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষে মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়েছে।
জানাজায়, রজব আলী মুন্সী কান্দি গ্রামে তোতা মোড়লের বিরোধপূর্ণ জমিতে নাসির লপ্তি আমন ধান কাটা শুরু করে। প্রথমে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে বারেক লপ্তি (৩৮), জুলহাস (৩০), মজিবর (২৮), রিপন (৩৫), নাসির (৪৩), সাবিনা (৩৩), তোতা মোড়ল (৫৫) আহত হয়। তাদের আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শিবচর প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণে সহায়তা করছে রয়েল স্টোন ।। দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল কিংবা ক্ষুন্ন করতে পারেন সাংবাদিকরা।--গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
১০ ডিসেম্বর, ২০১০ :: গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. আব্দুল মান্নান খান বলেন, সাংবাদিকরাই দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল কিংবা ক্ষুন্ন করতে পারেন। তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে মাদারিপুর জেলার শিবচর প্রেসক্লাব-এর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) সরকারের দোষ-ত্রুটি লিখবেন, বিরোধীদলের কথা লিখবেন; পাশাপাশি সরকারের ভালকাজের কথাও লিখবেন। শিবচর প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণে আর্থিক সহায়তা করছে রয়েল স্টোন।
শিবচর প্রেসক্লাবের সভাপতি একেএম নাসিরুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, রিহ্যাবের চেয়ারম্যান নসরুল হামিদ বিপু এমপি, জহিরুল হক ভূইয়া এমপি, মাদারিপুর জেলা প্রশাসক শশী কুমার সিংহ, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুনির চৌধুরী, মাদারিপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মাওলা আকন্দ, রয়েল স্টোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসেন উদ্দিন সোহেল। পরে মন্ত্রী শিবচর প্রেসক্লাবে কম্পিউটার, টেলিভিশন ও আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ২ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।
শিবচরে দেশের সর্বপ্রথম হাউজিং প্রকল্প উদ্বোধন
১০ ডিসেম্বর, ২০১০ ::ভূমির সর্বোচ্চ সদব্যবহারের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা শহরে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ভূমির সর্বোচ্চ সদব্যবহারের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক হাউজিং প্রকল্প নিয়েছে। স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের আবাসন সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। দেশের সর্বপ্রথম এই হাউজিং প্রকল্প উদ্বোধন হল মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলায়।
আজ শুক্রবার সকালে মাদারিপুর জেলার শিবচর পৌরসভার নলগোড়া ও ঠেঙ্গামারা মৌজায় ময়নাকাটা নদীর তীরবর্তী ১৯.৬২ একর জমিতে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. আব্দুল মান্নান খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, রিহ্যাবের চেয়ারম্যান নসরুল হামিদ বিপু এমপি, জহিরুল হক ভূইয়া এমপি, মাদারিপুর জেলা প্রশাসক শশী কুমার সিংহ, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুনির চৌধুরী প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে শিবচর পৌরসভা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম পর্যায়ে মোট ১৯.৬২ একর জমিতে ১০৯৯.৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আবাসিক প্লট ৫ কাঠার ১০৯টি ও ৩ কাঠার ৪৯টি; প্রাইমারি স্কুল ও খেলারমাঠ ১টি, পাম্প হাউস ও বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ১টি, কর্নারসপ ৭টি এবং ১টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ১৯.৬২ একর জমিতে ১০৪৮.৭৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫ কাঠার ৮২টি ও ৩ কাঠার ৮৪টি আবাসিক প্লট; ৮টি বাণিজ্যিক প্লট, ১টি বাণিজ্যিক স্পেস, ১টি খেলার মাঠ ও পার্ক এবং ৫টি কর্নারসপ নির্মাণ করা হবে। ২০১১ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ এবং ২০১২ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিবচরের সন্ন্যাসীরচর গ্রামে ডাকাতি ॥ বোমা হামলায় আহত ৫
(১৭ জুলাই, ২০১০):: শিবচরের সন্ন্যাসীচর গ্রামে শুক্রবার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতদের বোমা হামলায় ৫ জন আহত হয়।
এলাকাবাসী, পারিবারিক, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত প্রায় তিনটার দিকে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল ঘরের জানালার গ্রিল কেটে কুয়েত প্রবাসী দুলাল খালাসির ঘরে ঢুকে। ডাকাতরা প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৭টি মোবাইল ফোনসহ ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। যাবার সময় ডাকাতদের ছোড়া বোমার আঘাতে আছিয়া বেগম (৬৫), নাছিমা আক্তার (৩৫), আরিফ খালাসি (১৭), লিটন খালাসি (২৮), ও শহীদ খালাসি (৩৫) গুরুতর আহত হয়। আহতদের শিবচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন, সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। থানায় মামলা হয়েছে। ডাকাতদের ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।
পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতুর নির্মানাধীন রক্ষা বাঁধের ৩ টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন
(১৬ জুলাই, ২০১০):: আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তোড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের নির্মাণাধীন সেতু রক্ষা স্থায়ী বাঁধের ৩টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটিসহ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও বিস্তৃর্ণ এলাকা মারাত্মক ভাঙ্গন ঝূঁকিতে রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত দু’বছরে আড়িয়াল খাঁয় অব্যাহত ভাঙ্গনে হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের সেতু রক্ষা বাঁধ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। ফলে সেতুটি ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় গত নভেম্বর থেকে পারিসা কনস্ট্রাকশন সেতুর পূর্ব পাড়ে ও মশিউর রহমান চৌধুরী কনস্ট্রাকশন পশ্চিম পাড়ে ২৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু রক্ষা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে সেতু রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও এখনো বাঁধের বিভিন্ন অংশে কাজ চলছে। কিন্তু গত ২/৩ দিনে নদীতে পানি বেড়ে ও তীব্র স্রোতে পশ্চিম পাড়ের ২টি স্থানের প্রায় ৬০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ও পূর্ব পাড়ের প্রায় ১০ মিটার বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে । সংশ্লিষ্টদের ব্লক ফেলে বাঁধ টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
মশিউর রহমান চৌধুরী কনস্ট্রাকশনের সাইড ম্যানেজার আ. মান্নান শেখ বলেন, আমরা গত জুন মাসে বাঁধের কাজ শেষ করেছি। নদীর তলদেশে তীব্র ঘূর্ণস্রোত থাকায় বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী অখিল বিশ্বাস বলেন, স্রোতের কারণে বাঁধগুলোতে সমস্যা হচ্ছে । আমরা আগামীকাল (শনিবার) সরেজমিনে যেয়ে ব্যবস্থা নেবো।
শিবচরে ১০দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষমেলা শুরু : পাট ছাড়ানোর রিবনার বিতরণ
(১৫ জুলাই, ২০১০) :: আজ বৃহস্পতিবার থেকে শিবচর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফলদ বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলবে আগামী ১০ দিন। এসময় ২শ’ কৃষকদের মাঝে পাট ছাড়ানোর রিবনার বিতরণ করা হয়।
Read More ... »
সুত্র জানায়, দেশীয় ফলদ গাছের ব্যাপকতা বৃদ্ধি করতে ‘দেশী ফলে বেশি লাভ,খাদ্য পুষ্টির নাই অভাব’ স্লোগান নিয়ে শিবচরে ১০ দিনব্যাপি ফলদ বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। মেলায় ২০টি স্টল বসেছে। আজ সকালে মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে বন্ধ ক্রস চ্যানেলে ড্রেজিং শুরু
(১৫ জুলাই, ২০১০) :: নাব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের ক্রস চ্যানেল সচল করতে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রাথমিকভাবে শুরু হলেও মূলত আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টা থেকে পুরোদমে ড্রেজিং শুরু করেছে একটি ড্রেজার। তবে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় জোয়ারের সময় ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ থাকছে।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া হাজরা-কাঁঠালবাড়ি-মাওয়া চ্যানেলটি সচল করতে ৫৬ হাজার ঘনমিটার বালু উত্তোলনের লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএর ডি-১৩৩৮ ড্রেজারটি বুধবার সন্ধ্যায় ড্রেজিং শুরু করে। এসময় নদীতে জোয়ার আসায় তীব্র স্রোতের কারণে ড্রেজিং বন্ধ করে দেয়া হয়। জোয়ারের প্রভাব কমলে আজ বেলা ১২টায় আবারো ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ ) মাসুকুল হক বলেন, জোয়ারে তীব্র স্রোতের কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বন্ধ চ্যানেলটির ওয়ান ওয়ে চালু করতে প্রায় ১০ দিন লাগতে পারে।
শিবচরে সড়ক দূর্ঘটনায় ২জন নিহত
(১৩ জুলাই, ২০১০) :: ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতপুর বাজারে আজ (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৮টায় মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
শিবচর হাইওয়ের সার্জন আসাদুজ্জামান সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুরবাজারে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংর্ঘষে মোটরসাইকেল চালক শিবচর ভেদরচর গ্রামের সিরাজ মুন্সীর ছেলে আল-আমিন (২৬) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মোটরসাইকেল আরোহী একই গ্রামের তোতা হাওলাদারের ছেলে আশিক হাওলাদারকে (২৫) শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যায়। এছাড়া অপর মোটরসাইকেল আরোহী ইমরান (২৪) নামের এক যুবকের অবস্থা আশংকজনক। তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটে আটকে পড়েছে ৩টি ফেরি
(৯ জুলাই, ২০১০) :: কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুটের হাজরা চ্যানেলে প্রায় ৭০টি যানবাহন নিয়ে ডুবোচরে আটকে পড়েছে ৩টি ফেরি। এছাড়া ২টি ফেরি নদীর মাঝপথে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ফলে আজ শুক্রবার সকাল থেকে হাজরা চ্যানেল দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। উভয়পারে প্রায় ১ হাজার যানবাহন আটক পড়েছে। যাত্রীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, আজ সকালে কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বরকত ৩০টি যানবাহন নিয়ে অপরদিকে মাওয়া থেকে কাওড়াকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ৩০টি যানবাহন নিয়ে রো রো ফেরি শাহ মখদুম ও ১০টি গাড়ি নিয়ে একটি কে টাইপ ফেরি হাজরা চ্যানেলে পৌঁছলে নতুন ডুবোচরে আটকে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ বলেন, বর্ষা মৌসুমে নতুন করে পলি পড়ে নদীতে ডুবোচর জেগে উঠেছে। তাই ফেরি ৩টি আটকে যায়। বর্তমানে ফেরি উদ্ধার কাজ চলছে। এছাড়া ২টি ফেরি নদীপথে নোঙর করে রাখা হয়েছে। সকাল থেকে ঘাটের উভয়পারে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নারী ও শিশু যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। দ্রুত চ্যানেল খুলে দিতে না পারলে অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সড়ক দূর্ঘটনায় এক মহিলা মারা গেছে
(৯ জুলাই, ২০১০) :: মাদারীপুর-শিবচর সড়কের যাদুয়ারচরের মাদবরেরকান্দি গ্রামে আজ (শুক্রবার) সকালে সড়ক দূর্ঘটনায় আলাতন বেগম (৫০) নামের একজন মহিলা মারা গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে শিবচর থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা কৃষাণ পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী যাদুয়ারচর গ্রামের মৃত কফিলউদ্দিন সরদারের মেয়ে আলাতন বেগমকে চাপা দিলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এই ঘটনায় পরিবহনটি উল্টে পুকুরের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় চালকসহ ৫ জন আহত হয়। পুলিশ এসে আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভিভুত চরাঞ্চলের ৩০ দুস্থ পরিবার
(৮ জুলাই, ২০১০) :: পদ্মা বেষ্টিত জনবিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ ওরা। বঞ্চিত স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল অধিকার থেকেই। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) এদের মধ্যে ৩০টি অতি দুস্থ পরিবার পেলেন বিনামুল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ। শুধু স্বাস্থ্যসেবাই নয় পেলেন স্যানেটারি ল্যাট্রিন, শাড়ি-লুঙ্গি, আমগাছ ও আড়াই হাজার করে নগদ অর্থও। প্রত্যন্ত জনপদের অবহেলিত মানুষের জীবনযাপনের চিত্র সরেজমিনে দেখতে এসে সরকার পরিচালিত লোক প্রশাসন বিভাগের প্রশিক্ষণে থাকা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যসেবা,স্যানেটারি ল্যাট্রিনসহ বিভিন্ন সেবা পেয়ে অভিভুত চরের খাড়াকান্দি গ্রামের এ সকল দুস্থ পরিবার।
আজ দুপুর পর্যন্ত শিবচরের মাদবরচর ইউপি কার্যালয়ে পরিবারগুলোর বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা শেষে, স্যানেটারি ল্যাট্রিন, শাড়ি-লুঙ্গি, আমগাছ ও নগদ আড়াই হাজার করে অর্থ বিতরণ করা হয়। সরকার পরিচালিত লোক প্রশাসন বিভাগের দিনব্যাপি এ কর্মশালায় সরকারি ৬ কর্মকর্তা দুস্থ পরিবারগুলোর কাছ থেকে তাদের জীবনযাপনের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ করেন। প্রশিক্ষণরত মাদারীপুর জেলা প্রশাসক শশী কুমার সিংহ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্দিকুর রহমান, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালেয় উপসচিব মো. আলাউদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব আবেদা আক্তার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব নাসরিন সুলতানা ছাড়াও এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আবু বক্কর সিদ্দিকি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুবুর রহমান, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস,রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল কবীর, সহকারি কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক শশী কুমার সিংহ বলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আমরা দুস্থ এ পরিবারগুলোর জীবনমান পর্যালোচনা করছি। সাথে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় সেবা কার্যক্রম দেয়া হয়েছে।
পাঁচ্চরে নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে জখম : গ্রেফতার ১
(৮ জুলাই, ২০১০) :: উপজেলার পাঁচ্চর বাজারের নৈশপ্রহরী মো. রাজন খান (৪৫) কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেছে কতিপয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এলাকাবাসী একজনকে ধাওয়া করে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল (বুধবার) রাতে শিবচর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন পাঁচ্চরে চোরাই মটরসাইকেল ও এক চোরের সন্ধানে গেলে নৈশপ্রহরী রাজন খান পুলিশকে সহযোগিতা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে রাতে রাজন খান পাঁচ্চর বাজারে পাহারা দেয়ার সময় সাত-আট জন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নৈশপ্রহরীকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে রাস্তার পাশে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। আহতকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার রাতে চোরাই মটরসাইকেল ও চোরের সন্ধানে গেলে প্রহরী রাজন আমাদের সহযোগিতা করেছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই রিকন,মাহাবুবসহ সন্ত্রাসীরা রাজনের উপর হামলা চালায়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মাহাবুব খালাসী (২৫) কে গ্রেফতার করেছি। বাকি অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান : শিবচরের পদ্মায় ৬টি মাছ ধরার অবৈধ বাধ উচ্ছেদ : লক্ষাধিক টাকার জালে আগুন
(৬ জুলাই, ২০১০):: আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিবচরের পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৬টি নদীজোড়া আড়াআড়ি অবৈধ মাছ ধরার বাধ উচ্ছেদ ও লক্ষাধিক টাকার ছালা, বেড়া ও কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র জানায়, সকালে মাদারীপুরের ম্যাজিস্ট্রেট আ. রউফ তালুকদার, মৎস কর্মকর্তা নাজমুদ হুদা ও পুলিশের এসআই শেখ আবদুল্লাহের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অভিযান চালায়। এসময় ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীর ওপাড় এলাকার ৬টি অবৈধ বাধের কয়েক শ’ বাঁশ, জাল ও মাছ ধরার ফাঁদ তুলে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। তাছাড়া নদীতে অভিযান চালিয়ে জেলেদের কাছ থেকে অবৈধ জাল জব্দ করে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুদ হুদা বলেন, ৬টি অবৈধ বাধ উচ্ছেদ করা হয়েছে। সকল বাধ উচ্ছেদের জন্য নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো জরুরি। আগামী সপ্তাহে পদ্মায় আবারো অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে।
বজ্রপাতে বিকল : শিবচর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ৭ দিনেও চালু হয়নি
(৬ জুলাই, ২০১০) :: গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) বজ্রপাতে শিবচরের বিটিসিএল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি গত ৭দিনেও চালু হয়নি। ফলে টেলিফোন ব্যবহারকারী প্রায় ৩৬০ জন গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ব্যাংক, অফিসগুলোর জরুরি সেবা কার্যক্রমও চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।
বিটিসিএল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরের বজ্রপাতের ঘটনায় শিবচর-মাদারীপুর এক্সচেঞ্জের সংযোগ লিংক, শিবচর এক্সচেঞ্জের এক্সচেঞ্জ কার্ডসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকেই এক্সচেঞ্জটির ৩৬০টি টেলিফোন সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে উপজেলার জরুরি প্রশাসনিক বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ কার্যক্রমসহ ব্যাংকিং লেনদেনেও মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে মানুষকে। বিকল্প উপায়ে এ সকল জরুরি কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর বিটিসিএল-এর বিভাগীয় প্রকৌশলী আ. ওহাব বলেন, দেশের সবচেয়ে দক্ষ প্রকৌশলীদের দিয়ে বিকল লিংক, এক্সচেঞ্জ কার্ড পরিবর্তন করেও এক্সচেঞ্জটি চালু করা যায়নি। টেলিফোন বোর্ডের মাধ্যমে শীঘ্রই চীনের জেডটিই কোম্পানির প্রকৌশলীরা এসে সফটওয়্যারটি লোড করলেই এক্সচেঞ্জটি চালু হবে।
যাত্রীছাউনি নেই : কাওড়াকান্দি-মাওয়া ঘাটে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
(৩ জুলাই, ২০১০) :: 'ম্যালা দিন ধইরা অসুখে পড়ছি। ভালা ডাক্তার দেহানোর লাইগা নাতি সবুজের লগে ঢাকা রওনা হইছি। বাস না পাইয়া ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা রওনা হই। রাইতে ঘাটে আইছি। আইজকো আর লঞ্চ যাইবো না। আকাশে ম্যালা মেঘ। নাতি লইয়া সারা রাইত রাস্তার পারই বইসা থাকতে হইবো। বৃষ্টি নামলে কই গিয়া দাঁড়ামু জানি না।' কথাগুলো বললেন পটুয়াখালী থেকে আসা অশীতিপর হালিম মিয়া।
এমন ঘটনা নতুন নয়। ধর্মঘট, পানি বৃদ্ধি, ঝড়-বৃষ্টি, কুয়াশাসহ সব ধরনের দুর্যোগে শিবচরের কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুটের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার শত শত যানবাহনের শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ হাজার হাজার যাত্রীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কুয়াকাটার রোজি, ঝালকাঠির রহিমা, বাগেরহাটের আবুল কালাম, মোরেলগঞ্জের রাজিয়া আক্তারসহ আরো অনেক যাত্রী জানান, ঘাটে কোনো যাত্রী ছাউনি না থাকায় একটানা আট ঘণ্টা বাসের মধ্যে বসে ছিলেন। রাতে ঘাট এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। আশ্রয় নেওয়ার জায়গা পাওয়া যায় না। টয়লেটেরও ব্যবস্থা নেই। নিরুপায় হয়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে টয়লেটের কাজ সেরেছেন তাঁরা।
দোকানদার কালাম মিয়া বলেন, 'রাত হলে তো আমরা দোকান বন্ধ করে রাখি। ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য যাত্রীদের এই দুর্ভোগ।' লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, কাওরাকান্দি ঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার জনগণ যাতায়াত করে। ঘাটে কোনো ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল পাশা বলেন, কাওড়াকান্দি ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর একটি যাত্রী ছাউনি আছে। সেটা এখন পুলিশের দখলে। ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের তো একটু কষ্ট হচ্ছেই।
মহাসড়ক অবরোধ : গাড়ি ভাংচুর : শিবচরে বাস চাপায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
(২ জুলাই, ২০১০) :: আজ (শুক্রবার) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শিবচরে যাত্রীবাহী বাস চাপায় সবুজ বাংলা (টেম্পু) যাত্রী ফরিদপুর অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. মান্নান হাওলাদার (৪৫) নিহত হয়েছে। এঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এক ঘণ্টা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ও ঘাতক বাসটিতে ভাংচুর চালায়।
দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার বলেন, দুপুর সাড়ে বার টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দত্তপাড়া ইউনিয়নের সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ডে লোকাল টেম্পু সবুজ বাংলা পরিবহন মহাসড়কেই দিক পরিবর্তন করতে গেলে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী সুগন্ধা পরিবহন (পাবনা-ব-১৯৪০) পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে টেম্পুটি দুমড়ে মুচড়ে পাশের একটি বেবিটেম্পুকে নিয়ে স্ট্যান্ডের একটি দোকানের উপর পড়ে। সংঘর্ষে সবুজ বাংলার যাত্রী অগ্রণী ব্যাংক, ফরিদপুর শাখার সিনিয়র অফিসার মান্নান হাওলাদার (৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় অপর অজ্ঞাতনামা অপর এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বেলা সাড়ে বারটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ও ঘাতক গাড়িটিকে ভাংচুর করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার বলেন, দুপুর সাড়ে বার টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দত্তপাড়া ইউনিয়নের সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ডে লোকাল টেম্পু সবুজ বাংলা পরিবহন মহাসড়কেই দিক পরিবর্তন করতে গেলে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী সুগন্ধা পরিবহন (পাবনা-ব-১৯৪০) পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে টেম্পুটি দুমড়ে মুচড়ে পাশের একটি বেবিটেম্পুকে নিয়ে স্ট্যান্ডের একটি দোকানের উপর পড়ে। সংঘর্ষে সবুজ বাংলার যাত্রী অগ্রণী ব্যাংক, ফরিদপুর শাখার সিনিয়র অফিসার মান্নান হাওলাদার (৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় অপর অজ্ঞাতনামা অপর এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বেলা সাড়ে বারটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ও ঘাতক গাড়িটিকে ভাংচুর করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিবচরের পাঁচ্চরে কার্বাইড মিশ্রিত আম ধ্বংস
(৩০ জুন, ২০১০) :: আজ (বুধবার) দুপুরে শিবচরের পাঁচ্চর বাজারের বিভিন্ন ফলের দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৬ মণ বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত আম জব্দ করে সেগুলো ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত আম বিক্রির অপরাধে পাঁচ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সূত্র জানায়, দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাঁচ্চর বাজারের বিভিন্ন ফলের দোকানে অভিযান চালায়।
বজ্রপাতে পিতা ও কন্যার মৃত্যু : ৭ ছাত্রী আহত
(২৯ জুন, ২০১০) :: আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শিবচরের উমেদপুরে বজ্রপাতে পিতা ও কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়াও উমেদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ ছাত্রী আহত হয়েছে। আহত ছাত্রীদের স্থানীয় উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ৩ টার দিক সাবেক কমলাপুর গ্রামে প্রথমে হাশেম হাওলাদারের বাড়ির নারকেল গাছে একটি বজ্রপাত পড়ে ঘরের টিনের চালে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই গৃহকর্তা হাশেম হাওলাদার (৭৫) ও তার মেয়ে ৩ সন্তানের জননী রাহেলা বেগম (৪০) নিহত হয়। অপরদিকে একই সময় উমেদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি বজ্রপাত ঘটলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সোনিয়া আক্তার, মৌসুমি আক্তার, নুপুর, এমিলি, তানজিলাসহ ৭ ছাত্রী আহত হয়। ছাত্রীদের আহতাবস্থায় স্থানীয় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে ৮৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
(২৯ জুন,২০১০):: ভারতীয় সীমান্ত হয়ে অভিনব কায়দায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য। আজ (মঙ্গলবার) সকালে মাইক্রোবাসের যাত্রী আসনের পাটাতনের নীচে বিশেষ বক্স তৈরি করে অভিনব কায়দায় ফেন্সিডিল পাচারকালে ৮৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট থেকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আসাদুল ইসলাম জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশের একটি দল কাওড়াকান্দি ঘাটে যশোর থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩-০৭৯১) অভিযান চালায়। এসময় চালক ও যাত্রীর আচরণে সন্দেহ হলে যাত্রী বসার আসনের পাটাতনের নীচে বিশেষ কায়দায় তৈরি বক্স থেকে ৮৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় ফেনসিডিল ব্যবসায়ী যশোরের আমড়াখালি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ (৪০) ও মাইক্রোবাস চালক নোয়াখালীর মহেশপুর গ্রামের মোহম্মদউল্লাহর ছেলে বেল্লাল হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার ও মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্লট বরাদ্দসহ কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা : বিভাগীয় শহরের বাইরে দেশের প্রথম আবাসিক প্রকল্প শিবচরে
(২৯ জুন, ২০১০) :: জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে বিভাগীয় শহরগুলোর পর এ প্রথম কোন উপজেলা শহরে স্বল্প ও মাধ্যম আয়ের নাগরিকদের জন্য হাউজিং প্রকল্প আবাসিক প্লট নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরত্বে এই আবাসিক প্রকল্পটি স্যাটেলাইট শহরের আদলে গড়ে তোলা হবে।
বিদ্যুৎ,পানি,ড্রেনেজসহ সকল নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন এ আবাসন প্রকল্পটির প্লট বরাদ্দের জন্য এক সংবাদ সম্মেলনে শিবচর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আ. কাদের খান মিলু আবাসন প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
শিবচর পৌরসভা মিলনায়তনে আজ (মঙ্গলবার) সকালে সংবাদ সম্মেলনে শিবচর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জানান, দেশের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের নাগরিকদের জন্য পৌর এলাকার নলগোড়া ও ঠেংগামারা মৌজায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় হাউজিং প্রকল্প আবাসিক প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। এই প্রথম কোন উপজেলা শহরে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের নাগরিকদের জন্য হাউজিং প্রকল্প আবাসিক প্লট নির্মাণ করা হয়। মোট ১৯ দশমিক ৬২ একর জমির উপর এ প্রকল্পে ৫ কাঠার ১০৯টি প্লট এবং ৩ কাঠার ৪৯টি প্লট থাকবে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক প্লট ৭টি, একটি মসজিদ, একটি খেলার মাঠ ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। ৫ কাঠা প্লটের জন্য ১ লাখ এবং ৩ কাঠা প্লটের জন্য ৬০ হাজার টাকা জামানত প্রয়োজন হবে। প্রতি কাঠা জমির মূল্য ধরা হয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
আবাসিক প্লট বিতরণের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্লট পেতে আগ্রহীরা আগামী ২৭ জুলাই ২০১০ এর মধ্যে আবেদেন ফরম ক্রয় করতে পারবেন এবং ২৯ জুলাই আবেদন জমা দেয়ার শেষ তারিখ বলে তিনি জানান। ইতোমধ্যেই মাটি ভরাটের লক্ষ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্ব শাসিত সংস্থার চাকুরিজীবী, বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং বিদেশে কর্মরত ওয়েজ আর্নার, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, ক্রীড়াব্যাক্তিত্ব, শিল্পী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মধ্যম আয়ের লোকরা এ প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পাবেন বলে তিনি (মেয়র) জানান। আবেদনপত্র ও ফরম গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকার মিরপুর-১ ও ২ ডিভিশন কার্যালয় ছাড়াও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সকল কার্যালয়ে পাওয়া যাবে। ফরমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩শ’ টাকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবচর পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন খান, পৌরসভার সচিব মো. মোকলেসুর রহমান তালুকদার ও পৌরসভার কাউন্সিলরগণ।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য,জাতীয় সংসদের হুইপ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধূরী লিটন বলেন, গত শনিবার আমি জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের বক্তবে ঢাকা শহরে আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শিবচরসহ ঢাকার চারপাশে বিভিন্ন উপজেলায় স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ করার দাবী জানিয়েছি। এর অংশ হিসেবে শিবচরে আবাসন হাউজিং প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে শিবচরকে স্যাটেলাইট শহর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বীজাগার ভেঙে রড বিক্রি করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
(২৬ জুন, ২০১০) :: সড়ক ও বাজার সম্প্রসারণের নামে শিবচরের চান্দেরচর বাজারে একটি পরিত্যক্ত সরকারি বীজাগার ভেঙে রড বিক্রি করে দিয়েছে উমেদপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। বৃহস্পতিবার সারা রাত ধরে তারা এ কাণ্ড ঘটায়।
শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় উমেদপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাদন হাওলাদার তার ৭০/৮০ জন সমর্থক নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বীজাগারটি ভাঙা শুরু করে। ভবনটি ভেঙে রডগুলো সরিয়ে ফেলে তারা। উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ খবর পেয়ে ভোরে সেখানে গেলে দাদন হাওলাদারের লোকেরা সরে পড়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'একটি মহল ওই জায়গায় মার্কেট করতে চায় বলে শুনেছি। তারাই ভবনটি ভেঙে রড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।'
পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, 'ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছি, উমেদপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান দাদন হাওলাদার ও তার লোকজন কাজটি করেছে। ভবনটি থেকে সরিয়ে নেওয়া প্রায় ৮০০ কেজি রড একটি দোকানে পাওয়া গেছে।'
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল বলেন, 'চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক। কৃষি কার্যালয় মামলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে দাদন হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সড়ক ও বাজার সমপ্রসারণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরিত্যক্ত ভবনটি ভাঙা হয়েছে। ভবনটি কার_তা জানেন না তিনি। ভবনের রডগুলো বিক্রি করে শ্রমিকদের খরচ মেটানো হয়েছে বলে জানান তিনি।'
ওয়েট স্কেল না থাকায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে মেয়াদোত্তীর্ণ ফেরি দিয়ে ওভারলোড শত শত ট্রাক পারাপার : বড় ধরনের প্রাণহানির শঙ্কা
(২৪ জুন, ২০১০) :: ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকার সুযোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শত শত ওভারলোড ট্রাক নিয়ে লক্কর ঝক্কর ফেরিগুলো চরম ঝূঁকি নিয়ে প্রতিদিন মাওয়া-কাওড়াকান্দির উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের প্রাণহানির শংকা করছেন খোদ সংশ্লিষ্টরা।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, যমুনাসেতু ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ওজন পরিমাপক (ওয়েট স্কেল) থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অতিরিক্ত বোঝাই ট্রাকসহ ভারী যানবাহনগুলো কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুট বেছে নিয়েছে। পণ্যবাহী প্রায় যানবাহনগুলোই ২০ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত মালামাল নিয়ে ফেরিগুলোতে উঠে দীর্ঘ পদ্মা পারাপার হয়। সূত্র আরো জানায়, আন্তজার্তিক মেরিনটাইপ সংস্থার (আইএমও) কোড অনুযায়ী বাংলাদেশে চলাচলরত ফেরিগুলো ৩০ বছর চলার কথা থাকলেও মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটের ফেরিগুলো অতি পুরাতন ও মেয়াদোত্তীর্ণ। এরমধ্যে ১৯৬৩ সালে মিডিয়াম টাইপ ফেরি যশোহর; ফ্লাট ফেরিগুলোর মধ্যে ১৯৩৮ সালে থোবাল ও যমুনা; ১৯২৫ সালে রানীক্ষেত, রায়পুরা, রানীগঞ্চ ও টাপলো; ১৯৭৩ সালে ফেরি কেটাইপ কুমারী, কামিনী ও ১৯৬৩ সালে ভিভিআইপি ফেরি কর্ণফুলী নির্মিত হয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে প্রায়শই ফেরিগুলোর ইঞ্জিন ও পল্টুনের ডেক প্লেট, র্যাম্প, ফেরির ঢালা ও পাটাতন, র্যাম্পের কব্জাসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে ফেরিগুলো বিকল হয়ে যায়।
কাঠবোঝাই ট্রাক ড্রাইভার ইদ্রিস মিয়া বলেন, যমুনায় ও আরিচা রুটে ওজন মাপার মেশিন থাকায় আর এই ঘাটে কোন বাঁধা না থাকায় আমরা ভারী ট্রাক নিয়া সবসময়ই মাওয়া দিয়াই পার হই।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড মাস্টার ওয়েলফেয়ার এসোশিয়েশনের (ফেরি চালকদের সংগঠন) সভাপতি ইদ্রিস হোসেন সিরাজী বলেন, এ রুটের পুরাতন ফেরিগুলো চরম ঝূঁকি নিয়ে ২৫-৩০ টনের ট্রাকগুলো নিয়েই সবসময় ১৭ কিলোমিটার দূরত্বের দীর্ঘ পদ্মা পার হই।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় পাড়ে ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকার সুযোগে ২৫-৩০ টনের ট্রাকগুলো নিয়ে সবসময় পারাপার হওয়ায় ফেরিগুলোও প্রতিনিয়ত মেরামত করে পরিচালনা করতে হচ্ছে। ওজন পরিমাপক যন্ত্রের সাথে সাথে যানবাহন সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে।
কাওড়াকান্দি ফেরির রোলিংয়ে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
(২২ জুন, ২০১০) :: শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৮টায় একটি রো রো ফেরির রোলিংয়ে চাপা পড়ে এক কভার ভ্যানের হেলপার নিহত হয়েছে।
শিবচরের পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আসাদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাওয়া থেকে একটি রো রো ফেরি কাওড়াকান্দি ঘাটে ভিড়লে একটি কভার ভ্যান (চট্ট-ট-১১২৪২৫) আনলোড করার সময় কভার ভ্যানের ছাদে ঘুমিয়ে থাকা কভার ভ্যানের হেলপার সাদ্দাম হোসেন ফেরির রোলিংয়ের সাথে চাপা খেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটি আটক করে।
শিবচরের শীর্ষ চরমপন্থী মনির মোল্লাসহ ৩ চরমপন্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ : ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
(২২ জুন, ২০১০) :: শিবচরের শীর্ষ চরমপন্থী সর্বহারা পার্টির আঞ্চলিক নেতা মনির মোল্লাসহ ৩ চরমপন্থীকে আজ ভোররাত (৪টায়) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার শিবচর থানার ওসি আ. জলিলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দুর্ধর্ষ মনির মোল্লাকে ভোররাতে ঢাকার রামপুরা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে অপর দুই চরমপন্থী পলাশ মাদবর ও দেলোয়ার সিকদারকে ঢাকা থেকেই গ্রেফতার করে। এরপর ওই ৩ চরমপন্থীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিবচরের চরমপন্থী অধ্যুষিত নিলখির বাগমারা থেকে ৩টি বিদেশি বন্দুক, ২টি কাটা বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত মনির মোল্লার বিরুদ্ধে ২০০১ সালে পুলিশকে হত্যা করে ফাঁড়ি লুটসহ অন্তত ৭টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ,ডাকাতিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। অপর দু’জনের বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রযেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিপুল অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধানে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে পুলিশ জানায়।
প্রকাশ্যে মাছ নিধন উৎসব : বিল পদ্মায় নদীজোড়া অবৈধ বাঁধের ছড়াছড়ি
(২১ জুন, ২০১০) :: শিবচরের বিল পদ্মায় অন্তত ৬০টি নদীজোড়া আড়াআড়ি বাধ দিয়ে নির্বিচারে ডিমওয়ালা ও পোনামাছসহ সকল প্রজাতির মাছ নিধন শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে অবৈধভাবে মাছ নিধনের এ উৎসব চললেও যেন দেখার কেউ নেই। বিষয়টির সতত্যা স্বীকার করে বিস্ময়করভাবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দায়ভার চাপালেন জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের উপর।
একাধিক সূত্র জানায়, শিবচর ও মাদারীপুরের দক্ষিণ কোণে ও শিবচর পৌর এলাকায় বহমান ‘বিল পদ্মা’ বিলে স্রোত কম থাকায় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে আড়িয়ালখাঁ নদ থেকে প্রতিবছর বর্ষায় অসংখ্য মা মাছ ডিম ছাড়তে আসে। এ সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বর্ষার শুরুতেই অন্তত ৬০টি নদী জোড়া আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে বিল পদ্মায় (ক ও খ বিলে) মাছ নিধন শুরু করেছে। এরমধ্যে বিল পদ্মা-খ-তেই অর্ধ শতাধিক ছোট-বড় বাঁধ রয়েছে। এক একটি বাঁধে কয়েক বাঁশ গেড়ে মশারি,ছালা বা কারেন্ট জাল দিয়ে ঘেরা। নিচে মাছ আটকানোর ফাঁদ দোয়াইর ও বরশি। বাঁধগুলোর কোনটি বিলের মাঝামাঝি আবার কোনটি সম্পূর্ণ বিলজুড়ে রয়েছে। ফলে চিংড়ি, রুই, কাতলা, আইড়, পাঙ্গাস বোয়ালের মা মাছ ও পোনাসহ সকল মাছ আটকা পড়ছে। বাঁধগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে ছালা জাল। অথচ সাড়ে ৪ সেন্টিমিটার ফাঁসযুক্ত জালের নিচে জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাছাড়া প্রতিবন্ধকতামূলক বাঁধ আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
সেখপুরের ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘এই বিলে সাধারণ মানুষ কেউ মাছ ধরতে পারে না। যাগো টাহা আছে তারা বান দেয়।’
বাঁশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মৎস্য কার্যালয়ের লোকজন সবসময়ইতো আসা যাওয়া করে। তারা দেখেওতো কিছু বলে না। তাহলে আমাদের কি বলার আছে?’
বিল পদ্মা-খ-এর ইজারাদার জয়নাল সিপাহি বলেন, ‘প্রাকৃতিক মাছ এই সময় আড়িয়াল খাঁ থেকে বিলে উঠে তাই সব বাঁধই নদীর আধা আধি। মাছ নামার সময় অর্থাৎ আশ্বিন মাস থেকে নদীজোড়া বাঁধ দেয়া হয়। বৃটিশ আমল থেকেই এভাবে চলছে। প্রতি বাঁধ বাবদ জেলেরা আমাদের দেড়-দু’হাজার টাকা দেয়। এখন এই বাঁধ দিয়ে শুধু চিংড়ি মাছ ধরা হচ্ছে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল মামুন বলেন, ‘বিল পদ্মা ক ও খ বিল দু’টি প্রায় ৭ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছে ইজারাদার। প্রতি বছরই ইজারা হার ১০ ভাগ বাড়ে। এই টাকা পুষিয়ে নিতেই ইজারাদাররা বাঁধসহ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. এ.কে.এম আমিনুল বলেন, ‘চর দখলের মতো বিল পদ্মায়ও অবৈধ বাঁধ বসেছে। কিন্তু বাঁধ অপসারণের কাজ জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের, মৎস্য দপ্তরের নয়। আমরা তাদের আগেও জানিয়েছি। আবারও জানাবো।’
ধান-বাদামের পর পাট হারানোয় শিবচরের চরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক শংকিত
(১৮ জুন, ২০১০) :: গত এক মাসে ৩ দফা পানি বৃদ্ধিতে ধান,বাদামের পর পাট হারানোয় শিবচরের পদ্মাবেষ্টিত জনবিচ্ছিন্ন হাজার হাজার কৃষকের মাঝে হাহাকার নেমে এসেছে। গত ৪/৫ দিনে পদ্মা ও সংযুক্ত নদ-নদীতে তৃতীয় দফায় পানি বেড়ে শেষ ভরসা হাজার হাজার বিঘার পাট নষ্ট হওয়ায় হতভাগ্য কৃষক ও কৃষক বধুদের মাঝে চরম হতাশা নেমে এসেছে। চরের কৃষিখাত সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হওয়ায় শংকিত হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারাও। সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে চরাঞ্চলে দ্রুত ভিত্তিতে খাদ্য সহযোগিতা, ঋণ মওকুফ ও আগামী মৌসুমে বীজ,সার ও ভর্তুকির দাবী করেছেন খোদ সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৪/৫ দিনে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এ পর্যন্ত শিবচরের ৮ হাজার বিঘার পাট, ২৫শ’ বিঘার বাদাম ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও গত মাসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রথমে ঘূর্ণিঝড় লায়লার প্রভাবে পানি বেড়ে, পরে ঢলের পানি বেড়ে ৮ হাজার বিঘার বোরো ধান ৩১শ’ বিঘার বাদামসহ বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট হয়েছিল। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির প্রায় ৯০ ভাগই শুধুমাত্র জনবিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি, বন্দরখোলা ও মাদবরচর ইউনিয়নেই হয়েছে। এছাড়াও গত সপ্তাহে টর্নেডোতে চরাঞ্চলের প্রায় ৪শ’ ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছিল।
চরাজানাজাতের রশিদ সরকারেরকান্দি কৃষক আবু বকর বলেন, ‘গত ১ মাসে প্রথম দুই বারে ধান-বাদাম সব গেছে বাকি কয়ডা পাট আছিলো তাও এবারের পানিতে গেলো। সুদে টাহা আইনা ফসল করছিলাম। হেগো টাহাই দিমু কইর থিকা । নিজেরাই খামু কি?’
চরজানাজাত ইউপি চেয়ারম্যান বজলু সরকার বলেন, ‘পাটই ছিলো চরের কৃষকের শেষ ভরসা। তাও গেলো। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে। কিন্তু কৃষকদের ধান-পাট-বাদাম সব নষ্ট হলেও কোন সাহায্য পেল না। ঋণের ও মহাজনের সুদের টাকার জন্য চরের ঘরে ঘরে ঝগরা-কলহ বাড়ছে। অসহায় কৃষকরা খুব যন্ত্রণায় পড়ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘তৃতীয় দফা পানিতে ক্ষয়ক্ষতি ১৫ কোটি টাকার অধিকাংশই চরাঞ্চলের। শুধুমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল জনবিচ্ছিন্ন চরের মানুষের এত বড় ক্ষতি তাদের চলমান জীবনকেও চরমভাবে ব্যহত করবে। ঋণসহ বিভিন্ন সমস্যায় ওদের জীবনে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। আর এ সংকট ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে চরাঞ্চলে বিশেষ ভিজিএফ চালু করা উচিৎ। সাথে বর্ষার পরে চরের মানুষের জন্য বীজ, সার বিতরণ ও ঋণ মওকুফ করা উচিৎ।’
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দূর্ঘটনায় নিহত ১
(১৬ জুন, ২০১০):: আজ (বুধবার) সকালে শিবচরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছে।
সূত্র জানায়, ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শিবচরে যাত্রীবাহী বাস মেঘনা পরিবহনের সাথে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা একটি এ্যম্বুলেন্সের সংর্ঘষে এম্বুলেন্সের হেলপার উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ভোরে এম্বুলেন্সটি ঢাকা যাওয়ার পথে মহাসড়কের পাঁচ্চর নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘনা পরিবহনের সাথে সংঘর্ষ হয়।
শিবচরে ১০ হাজার বিঘার পাট ও বাদাম ক্ষেত প্লাবিত : কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
(১৪ জুন, ২০১০):: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা আড়িয়াল খাঁ সংযুক্ত সকল খাল-বিলে পানি বেড়ে শিবচরে অন্তত ১০ হাজার বিঘার পাট ও বাদাম ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ২/৩ দিনে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে চরজানাজাত,কাঁঠালবাড়ি,বন্দরখোলাসহ উপজেলার প্রায় ৮ হাজার বিঘার পাটেক্ষেত ও ২ হাজার বিঘার বাদাম ক্ষেত প্লাবিত হয়। পানিতে পচন ধরার আশংকায় আগে ভাগেই পাট ও বাদাম তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক। এতে করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা করছে কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, এ নিয়ে গত এক মাসে তৃতীয় দফা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা মুষড়ে পড়েছেন। এতে করে ৭ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বোনও ডাকল মাফও চাইল!
(১৩ জুন ২০১০) 'বিচার করতে হবে। বিচার চাই। ওরা আমাদের ভিডিও করল কেন? উত্ত্যক্ত করল কেন?'-এভাবে দু-একজন নয়, কয়েক শ' ছাত্রী প্রতিবাদ জানিয়ে বখাটেদের হাতজোড় করিয়ে মাফ চাইতে বাধ্য করেছে। আজ রবিবার সকালে ইভ টিজিংবিরোধী শোভাযাত্রা শেষে স্কুলে ফেরার পথেই ইভ টিজিংয়ের শিকার শিবচর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক শ' ছাত্রী প্রতিবাদ করে বখাটেদের কর্মকাণ্ডের। এ সময় ছাত্রীরা তিন বখাটে যে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল, সেটি ঘেরাও করে ফেলে। পরে মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড ফেরত দিয়ে ছাত্রীদের 'বোন' সম্বোধন ও হাতজোড় করে মাফ চেয়ে রেহাই পায় ওই তিন বখাটে।
শিবচর উপজেলা পরিষদ আয়োজিত ইভ টিজিংবিরোধী শোভাযাত্রা ও সমাবেশ শেষে বালিকা বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা থানা রোডে ঢুকতেই একটি কাঠের দোকানে অবস্থান নিয়ে লিয়াকত, আজিজুলসহ তিন বখাটে মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ভিডিও করে। বিষয়টি ছাত্রীরা আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ও দোকানটি ঘিরে ফেলে। বখাটেরা দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ছাত্রীদের সঙ্গে থাকা শিক্ষকরাও এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বখাটেদের মোবাইল ফোনগুলো পর্যবেক্ষণকালে শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ছাত্রীর ভিডিও দেখতে পান। ব্যবসায়ীরা এ সময় তিন বখাটেকে উত্তমমধ্যম দেন। পরে শিক্ষকদের হাতে মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড তুলে দিয়ে ছাত্রীদের 'বোন' সম্বোধন করে হাতজোড় করে মাফ চায় বখাটেরা। এরপর ছাত্রীরা মিছিল করে স্কুলে ফিরে যায়।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক বশিরউদ্দিন আহমেদ জানান, সমাবেশ শেষে স্কুলে ফেরার পথেই তিন বখাটে মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ভিডিও করার পাশাপাশি উত্ত্যক্ত করলে ছাত্রীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে দোকান ঘেরাও করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যবসায়ী পলাশ খান বলেন, 'ওই তিন যুবকের মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ভিডিও পাওয়া যায়। পরে ছাত্রীদের সামনেই শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা ওদের কড়া বিচার করেছেন। মনে থাকলে কেউ আর এ ধরনের অপরাধ করবে না।'
জবাই করে হত্যার চেষ্টা : বিশ্বকাপ খেলা দেখতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় শিকার হলো এক বৃদ্ধ
(১৩ জুন, ২০১০) :: শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের সাবেক মেম্বর বৃদ্ধ আ. কাশেম মুন্সিকে (৭৫) রক্তাক্ত অবস্থায় আজ (রোববার) সকালে পুলিশ উদ্ধার করে। গত রাতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে। আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক, হাসপাতাল ও শিবচর থানা সূত্রে জানা যায়, কাশেম মুন্সি শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য বাহাদুরপুর মোড়ে যায়। খেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে। আজ সকালে একটি পাটক্ষেতের মধ্যে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সর্বশেষে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহতের ছেলে মাসুদ বলেন, জমি-জমা বিরোধের পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল জবাই এর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানায় এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।
শিবচরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন টেঁটাবিদ্ধ : শিশু ও মহিলাসহ আহত কমপক্ষে ২০ জন
(১১ জুন ২০১০) আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের বড়দোয়ালি গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ও একটি প্রাচীর নির্মাণের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে ১জন টেঁটাবিদ্ধ হন। এছাড়া এলোপাতারি মারপিটে উভয় পক্ষের বৃদ্ধ, মহিলা, পুরুষ ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০জন গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টার সময় পাঁচ্চর ইউনিয়নের বড় দোয়ালি গ্রামের শিকদার বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধ ও শুক্রবার সকালে বাড়ির উঠোনের উপর দিয়ে একটি প্রাচীর (ওয়াল) নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও একই বাড়ির চাচা-ভাতিজাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নেয়। মারামারি থামাতে গিয়ে প্রতিবেশী শালিসরাও আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র ছ্যান, রামদা, টেঁটা, জুতি ও কাতরা, নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে হামলা চালায়। প্রতিবন্ধী (হাতকাটা) মমিন শিকদার (৭০) এবং তার স্ত্রী মজিদন নেছা (৫০), ও তার ছেলে রশিদ শিকদার (৩৫), লুৎফর শিকদারকে (৩২) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালে মোবারক শিকদারের (৪০) ডান হাতের কব্জিতে টেঁটাবিদ্ধ হয়। এছাড়া বাচ্চু শিকদার (৩৪), মোঃ দবির শিকদার (৩৮), মোঃ সেলিম শিকদার (২৫) ও ভানু বিবি (৫০), হাবিব শিকদারের মা চন্দ্র বান বিবি (৫০), স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম (৩৮) ছেলে ফয়সাল (১০) মোরছালিন (১২) ভাবী সাথী আক্তারকে (৩৫) প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষের আহত ১২ জনকে বর্তমানে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল বলেন, উভয় পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
পদ্মায় স্পীডবোট-ট্রলারের সংর্ঘষে নিহত-১ ॥ আহত-১৫
(১১ জুন ২০১০) শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি-মাওয়া ফেরি ঘাটের কাঁঠালবাড়ি চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় স্পীডবোট ও মাছের ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন অহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এদের শিবচর, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাওড়াকান্দি ঘাট, শিবচর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুল ইসলাম সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কাওরাকান্দি ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী স্পীডবোট কাঁঠালবাড়ি চেয়ারম্যান বাড়ির ঘাট এলাকায় এলে মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি মাছের ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাদবরেরচর ইউনিয়নের হাওলাদারকান্দি গ্রামের হাসেম ফকিরের ছেলে বাচ্চু ফকির (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাওড়াকান্দির পদ্মা নদী থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
(১০ জুন ২০১০) আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শিবচরের কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি।
সূত্র জানায়, বিকেলে কাওড়াকান্দি ৩নং ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এক তরুণীর লাশ ভেসে থাকতে দেখে লঞ্চ ও ট্রলার যাত্রী পুলিশে খবর দেয়। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শিবচর থানা পুলিশ এসে লাশটি (২০)উদ্ধার করে। দেখতে শ্যামবর্ণ মৃতদেহটির পরনে গোলাপী রঙের সেলোয়ার রয়েছে ও হাতে মেহেদি দেয়া।
উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকারী শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, মেয়েটির দেহে কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন নেই। ফেরি বা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে বা অন্য কোন কারণেও মেয়েটির মৃত্যু হতে পারে।
Read More ... »
সূত্র জানায়, বিকেলে কাওড়াকান্দি ৩নং ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এক তরুণীর লাশ ভেসে থাকতে দেখে লঞ্চ ও ট্রলার যাত্রী পুলিশে খবর দেয়। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শিবচর থানা পুলিশ এসে লাশটি (২০)উদ্ধার করে। দেখতে শ্যামবর্ণ মৃতদেহটির পরনে গোলাপী রঙের সেলোয়ার রয়েছে ও হাতে মেহেদি দেয়া।
উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকারী শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, মেয়েটির দেহে কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন নেই। ফেরি বা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে বা অন্য কোন কারণেও মেয়েটির মৃত্যু হতে পারে।
পদ্মার চরাঞ্চলকে শীঘ্রই মূল ভূখন্ডের সাথে সংযুক্ত করা হবে।--নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন
(০৭ জুন ২০১০) শিবচরের পদ্মা নদীর জনবিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে শীঘ্রই চরাঞ্চলের সাথে মূল ভূখন্ডকে সংযুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই একটি সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যে সড়কটি বিচ্ছিন্ন চরজানাজাত-কাঁঠালবাড়ি-মাদবরচর-বন্দরখোলা হয়ে সরাসরি মূল ভূখন্ডে মিশবে। আজ সোমবার দুপুরে শিবচরের চরজানাজাতে টর্নেডোতে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যেয়ে সংসদ হুইপ ও নৌ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এসব কথা বলেন।
হুইপ আরো বলেন, শুধু যোগাযোগই নয় শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ সকল নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। টর্নেডো ও এর আগে পানিতে প্লাবিত হয়ে ফসল ও ঘরবাড়ির যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ইতোমধ্যেই সাহায্য সহযোগিতা দেয়া শুরু হয়েছে। আরো দেয়া হবে।
ঝড়ে পিতা-পুত্রসহ ৩ নিহতদের পরিবারকে নগদ ১০ হাজার করে টাকা, ১০ কেজি চাল, সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত ৩৫টি পরিবারকে ১ বান করে টিন, ১ হাজার টাকা, ১০ কেজি চাল ও ক্ষতিগ্রস্থ সাড়ে ৩শ’ পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল প্রমুখ।
ঢাকার খিলগাওয়ের চাঞ্চল্যকর ফাতেমা বেগম পুড়িয়ে হত্যা মামলা ।। ঘাতক ওয়াদুদ মৃধাকে ৩ বছর পর শিবচর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
(০৬ জুন ২০১০) ঢাকার খিলগাওয়ের চাঞ্চল্যকর ফাতেমা বেগমকে পুড়িয়ে হত্যার অন্যতম হোতা ওয়াদুদ মৃধাকে (৩০) আজ রোববার শিবচর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল আজ রোববার বিকেলে উপজেলার উমেদপুরের চরকমলাপুর থেকে ওয়াদুদকে গ্রেফতার করে। ওয়াদুদ হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করেছে বলে র্যাব জানায়। তাকে শিবচর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওয়াদুদ শিবচরের উমেদপুরের শাহেদ মৃধার ছেলে।
উল্লেখ্য ২০০৭ সালের এপ্রিলে ঢাকার খিলগাওয়ে এক মধ্যরাতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় দু’সন্তানের জননী ফাতেমা বেগমকে। সে ঘটনার পর থেকেই ফাতেমার ঘাতক স্বামী লিটন মোড়ল ও তার মামা ঘাতক ওয়াদুদ পলাতক ছিল।
শিবচরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে সেমিনার
(০৬ জুন ২০১০) ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এ লক্ষ্য পূরণে প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আজ রোববার শিবচর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি মাদারীপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল কবীর ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাজ শুরু করে উপজেলা, জেলা হয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এতে তিনটি তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার মাধ্যমে ৫৬টি কৌশলে বাস্তবায়নের ধারাগুলো বর্ণনা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসনে তেমন কোনো প্রযুক্তিগত সুবিধা আসেনি। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রযুক্তি আমরা পেয়ে যাব। তবে এর আগে আমাদের যা আছে, তা দিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। সেমিনারে শিবচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ এনামুল কবীর, উপজেলার চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অনেকে।
শিবচরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, মহিলাসহ আহত ১০
(৬ জুন ২০১০) শিবচর উপজেলায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শামসুদ্দিন মৌলভীকান্দি গ্রামের কালাম শরীফের সাথে সিরাজ মাদবরের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সকালে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় গ্রুপের ১০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলো- কালাম ফরিদ (৩৫), ছরোয়ার শরীফ (৪০), শাহীন (২৫), হাজেরা বেগম (৮০), ফাহিমা (২৭), গুলজান (২৫), হালিম (৭০), রফিক (১৭), রহিমা (২৮) এবং মাজেদা (৪৫)। আহতদের প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় সিরাজ মাদবরের লোকজন কালাম শরীফের ৪০টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়! শিবচরে পরিত্যাক্ত ৫ ভবনে ঝুকি নিয়ে বাস করছে ৪৩ পরিবার
(০৫ জুন ২০১০) ১২ বছর পুর্বে পরিত্যাক্ত ঘোষিত শিবচর পৌরসভার বাবুবাড়ি খ্যাত পরিত্যাক্ত ৫টি ভবনে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে বাস করছে ৪৩ পরিবার। যে কোন সময় বড় ধরনের প্রাণহানীর আশঙ্কা করা হলেও প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
জানা যায়, বাবুবাড়ি খ্যাত ৩টি ভবন ও রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজ শিক্ষকদের আবাসিক ভবন ২টি ১২ বছর পূর্বে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয় । বাবুবাড়ির ৩ টি ভবনে ৩৫ এবং কলেজ ভবনে ৮জন শিক্ষক পরিবারের বসবাস । জরাজীর্ণ ভবনগুলোর একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে, খসে গেছে দেয়ালের প্লাস্টার। প্রায় ১২ বছর আগে ভবন পাঁচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর ২০০৩ সালে কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর জন্য দায়ী নয় সংক্রান্ত মুচলেকা নিয়েই দায় সেরেছে।
ওই ভবনের বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী সাহা জানান, "মুক্তিযুদ্ধের পরে আমাগো বাড়ির জায়গা দখল হওয়ায় এই পুরনো ভবনে উঠেছিলাম । এটি ভেঙ্গে দিলে আমরা আর ফেরত পাবনা । সাত বছর আগে সরকারি লোক আইসা আমাগো কাছ থিকা লিখিত নিয়া গেছে। এই বিল্ডিং ভাইঙা পইড়া মানুষ মারা গেলে সরকার দায়ী নয়, শর্তেই সরকার আমাগো থাকত দেয়"।
ব্যবসায়ী সুধীর সাহা বলেন, "৮২ সালে সরকার আমাগো কাছ থিকা ডিসিআরে (খাজনা) টাকা ও তারপর আরো ছয় বছর খাজনার টাকা নিছিলো। এরপর আর আসে নাই। তবে এই জমি গুলো আমাগো নামেই নথিভুক্ত করেছে। ভাংগাচুরা ভবনে থাকতে ভয় লাগে কিন্তু যামু কই? এই জায়গা একবার ছাড়লে আর উঠতে পারমু না। তাই মৃত্যুর ঝুকি নিয়েই থাকি"।
রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুল্লাহ মিয়া বলেন, ওই ভবনগুলোতে বসবাস করা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের ২টি আবাসিক ভবন অপসারণের জন্য আবেদন পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অধ্যক্ষ স্বীকার করেন, ভবনগুলো ভেঙ্গে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের প্রাণহানীর আশংকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাশ জানান, ভবনগুলোর ব্যাপারে প্রকৌশলীর মাধ্যমে আবারও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবনগুলো অপসারণ করলে ওই জায়গায় বর্তমান বসবাসকারীদের টিনসেড ঘর নির্মাণ করে বসবাসের সুযোগ দেয়া হবে। অন্য কেউ এখানে থাকার সুযোগ পাবেনা।
কালবৈশাখী ঝড় : নিহত-১, আহত ১০, দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত
(৩ জুন ২০১০) আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৪ টায় হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড়ে শিবচর উপজেলার পদ্মা বেষ্টিত জনবিচ্ছিন্ন চরজানাজাত ইউনিয়নে ১ জন নিহত, ১০ জন আহত ও ৫টি গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ে গাছপালা ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
চরজানাজাত ইউপি চেয়ারম্যান বজলু সরকার জানান, বৃহস্পতিবার দুপৃরের পর থেকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড কালবৈশাখী। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবিতে শাকিল মিনা (৯) নামের এক শিশু মারা যায়। এছাড়াও চরজানাজাতের রশীদ মোল্লাকান্দি, মোজাফফর মোল্লার কান্দি, আদেল মোল্লার কান্দি, চানু বেপারির কান্দি, রহমান হাওলাদার কান্দি গ্রামের দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছ উপড়ে ও ঘর বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছামাদ আকন (৫৫), হাসমত হাওলাদার (২৬) ও ইদ্রিস হাওলাদারকে (২০) গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত শাকিল চরজানাজাতের রশিদ মোল্লাকান্দির ছালাম মিনার ছেলে।
কালবৈশাখী ঝড়ে ৩টি গ্রামের ৭০টি ঘর-বাড়ি ও ১টি স্কুল বিধ্বস্ত : আহত ৪
(২৬ মে ২০১০) কালবৈশাখী ঝড়ে শিবচরের নিলখী ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের অন্তত ৭০টি ঘর-বাড়ি ও ১টি প্রাথমিক স্কুল বিধস্ত ও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। এসময় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড কালবৈশাখী। ঝড়ো বাতাসে বিধ্বস্ত হয় নিলখী গোলাম জাহাঙ্গীর কবির প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কলাতলা চরকামারকান্দি, দক্ষিণ চরকামারকান্দি, সোনামিয়া মুন্সীকান্দি গ্রামের অন্তত ৭০টি টিনশেডের ও কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে ঘরের উপড়ে গাছ পড়ে একই পরিবারের মন্না খাঁ (৪৮), স্ত্রী রঙ্গমালা বিবি (৪২), ছেলে রোকন খাঁ (২৬) ও একই গ্রামের মোতালেব দরানি (৩০) গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের শিরুয়াইল উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
লায়লার প্রভাবে শিবচরের চরাঞ্চলে আবারো ডুবে গেছে বাদাম, পাকা ধান ও পাট
23 May 2010 :: 10:12 am
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় লায়লার প্রভাবে গত তিনদিনে শিবচরের পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নসহ সারা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েক শ’ বিঘার পাকা বাদাম, পাকা ধান ও পাট আবারো প্লাবিত হয়েছে। পাকা ফসল হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কিষাণ-কিষাণীদের দিনরাত ধরে ডুবিয়ে ডুবিয়ে বাদাম তুলতে ও ধান কাটতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে পদ্মানদী বেষ্টিত চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি, মাদবরচর গিয়ে দেখা যায়, লায়লার প্রভাবে গত ৭২ ঘণ্টায় পদ্মা ফুসে উঠে ৪/৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে পদ্মা ও সংযুক্ত নদী-নালার তীরবর্তী ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৫শ’ বিঘার বাদামের ক্ষেত, আড়াই শ’ বিঘার ধান, ৪শ’ বিঘার পাট তলিয়ে গেছে।
চরজানাজাত ইউপি চেয়ারম্যান বজলু সরকার বলেন, প্রায় ২০ দিন আগের পানিতে চরের ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কৃষক সর্বশান্ত হয়েছে। আর এবার গত ৩ দিনের পানিতে বাদামের বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রায় পেকে যাওয়ায় কৃষকরা বাদাম, ধান ডুবিয়ে ডুবিয়ে তুলছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, পাকা ধান ও বাদাম ডুবে গেলেও এগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হবে না। পেকে যাওয়ায় ডুবে যাওয়া ফসলগুলোর ২০ ভাগ ক্ষতি হবে। আর দু-একদিন পানি থাকলে পাটগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।
সন্তানের পিতৃপরিচয়সহ স্ত্রীর অধিকার পেলেন রসনা
17 May 2010 :: 10:12 am
জন্মের পর জান্নাতুলের বয়স এখন সাড়ে সাত মাস। বাবার স্নেহ জোটেনি ভাগ্যে। বরং বাবার কারণেই জন্মের পাঁচ মাস আগে থেকেই 'একঘরে' জীবনের স্বাদ পায় সে। সেই জান্নাতুল ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বাবার কোলে যাওয়ার সুযোগ পেল। এ দৃশ্য মা রসনার চোখে জল এনেছে। হাজারো বঞ্ছনার মধ্যেও এ যেন এক চরম তৃপ্তি। সন্তানের পিতৃপরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের কপালেও স্ত্রীর অধিকার জুটল শিবচরের রসনা বেগমের।
শিবচর থানা পুলিশের তৎপরতায় বিয়ের মধ্য দিয়ে রসনা স্ত্রীর অধিকার ও জান্নাতুল সন্তানের অধিকার পায়।
দত্তপাড়া ফাঁড়ির দায়িপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রশান্ত দাস বলেন, শিবচর থানার ওসি আ. জলিলসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ৭ মে বিকেলে অভিযুক্ত আলম বাওয়ালিকে শিরুয়াইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে দত্তপাড়া ফাঁড়িতে কাজী ডেকে তাদের বিয়ের কাবিন করা হয়।'
প্রায় দুই বছর আগে দত্তপাড়া ইউনিয়নের জোনাব আলী মাদবরের একমাত্র মেয়ে মুড়িবিক্রেতা রসনা বেগমের সঙ্গে পাশের এসকান বাওয়ালির ছেলে আলম বাওয়ালির প্রেমের সূত্রপাত। প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে আলম রসনাকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। এর প্রায় এক বছর পর (মার্চ ২০০৯) টাকা নিয়ে গড়িমসি শুরু করলে রসনা আলমকে চাপ দেয়। আলম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ততদিনে রসনা প্রায় ৬ মাসের গর্ভবতী। এ কথা জানার পর আলম গা-ঢাকা দেয়। এর পর স্থানীয় প্রভাবশালী ও দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির হস্তক্ষেপে সালিস বৈঠকে আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওইদিন বিকেলেই রসনাকে বিয়ে করার অঙ্গীকার করে ফের গা-ঢাকা দেয়। মেয়ে-সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় রসনার। সালিস বৈঠকের মাধ্যমে তাঁকে 'একঘরে' বা 'সমাজচ্যুত' না করলেও প্রতিবেশী বা আত্মীয়স্বজন সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয় তাঁর পরিবারের ওপর থেকে। অঘোষিতভাবেই সমাজচ্যুত ছিল শিশুসন্তানসহ পরিবারটি।
'খাইতে পাই না, পড়মু ক্যামনে'
16 May 2010 :: 02:14 pm
বিদ্যালয়ে দেয়াল ঘেঁষে মলিন মুখে দাঁড়ানো একটি ছেলে। দেখেই মনে হলো, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। 'মন খারাপ করো না। রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তাতে কি?'_এ কথা বলতেই ছেলেটি মৃদু হেসে বলল, 'স্যার আমার নাম সুজন। জিপিএ ৫ পেয়েছি। কিন্তু ইতিমধ্যেই লেখাপড়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কম্পিউটার দোকানে কাজ শিখছি তো। তাই ভাবছি, এ রেজাল্ট ও সনদ দিয়ে কী করব?'
এভাবেই নিজের অনুভূতি জানায় শিবচরের খানকান্দি সৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সুজন চন্দ্র সূত্রধর। প্রাইভেট পড়িয়ে ও দর্জি পিতা সুদেব সূত্রধরকে সহযোগিতা করে খেয়ে-না খেয়েই সাফল্য পেয়েছে সুজন।
শিবচর পৌর এলাকার নলগোড়ায় সুজনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দেড় শতাংশ জমিতে পাটকাঠির বেড়ার ঘর। জরাজীর্ন ঘরে নেই কোনো পড়ার টেবিল। পরিবারের সবার পরনের পোশাক দেখে সহজেই বোঝা যায়, নুন আনতে তাদের পান্তা ফুরায়।
জানা গেল, অন্যের দোকানে দর্জির কাজ করে সুজনের বাবা সুদেব সূত্রধরের দৈনিক আয় ৭০ থেকে ১০০ টাকা। মা ইলা রানী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। মাঝেমধ্যে কাজ করেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। অন্যের বাড়ি কাজের বিনিময়ে পাওয়া কাপড়ই তাঁর সম্বল। ছেলের সাফল্যেও মায়ের চোখে যেন অন্যরকম এক বিষাদ। একটি মাত্র শার্ট-প্যান্ট পরেই ক্লাস করতে হতো সুজনকে। কখনো পান্তা খেয়ে আবার কখনো এক গ্লাস পানি খেয়ে যেতে হতো ক্লাসে। বেশির ভাগ বই বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে পড়ত। কেরোসিনের অভাবে প্রায় রাতেই পড়তে পারত না। তাই সূর্যের আলোই ছিল তার ভরসা।
সুজন বলে, 'আমি অনেক কষ্ট কইরা খাইয়া-না খাইয়া পড়ছি। আমার ডাক্তার হইতে ইচ্ছা করে। কিন্তু বাড়ির কেউ তো পেট ভইরা খাইতেই পারি না। পড়মু কেমনে? আমার স্কুল থেকে আমার কোনো বেতন নেয় নাই। স্যাররাও অনেক সহযোগিতা করছেন। বন্ধুরাও বই হাওলাদ দিছে পড়তে।'
মা ইলা রানী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'আজ সকালেও আমার ছেলেডা না খাইয়া রেজাল্ট আনতে গেছে। জন্মের পর ওগো কোনোদিন পেট ভইরা মুখে কয়ডা ভাতও দিতে পারি নাই। শুধু কোনো আত্দীয়ের অনুষ্ঠানে মাংস-পোলাও চোহে দেখছে। অভাবের কারণে সুজন লেখাপড়া ছাইড়া এহন কম্পিউটারের দোকানে কাম শিখতাছে।'
বাবা সুদেব বলেন, 'ওর মা-ই মাইনষের কাছ থিকা চাইয়া চাইয়া কোনোমতে পুলাডারে পড়াইছে। এত গরিব মাইনষের পুলা কি আর পড়তে পারে? আমার পুলাডা পড়ার সুযোগ পাইলে ঠিকই ডাক্তার হইতে পারত।'
সৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এ কে এম নাসিরুল হক বলেন, 'সুজন সুযোগ পেলে যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারত। কিন্তু দারিদ্র্যের কষাঘাতে ওরা নিষ্পেষিত। দুই বেলা খেতেই পায় না। কারো সহযোগিতা ছাড়া তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।'
মাতৃ-মৃত্যুর হার কমানোর প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় শিবচরের ১৮শ হতদরিদ্র মা চরম বিপাকে
15 May 2010 :: 11:14 am
মাতৃ-মৃত্যুর হার কমাতে সরকার পরিচালিত মাতৃ ভাউচার স্কীম প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় গত প্রায় ৫ মাস ধরে মাদারীপুরের শিবচরের প্রায় ১৮শ প্রসূতি মা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। প্রতিদিনই এ সকল হতদরিদ্র মায়েরা নবজাতকদের কোলে করে হাসপাতালের বারান্দায় সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। বারবার ধরনা দিয়েও ৫ মাস ধরে এসকল মায়েরা শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছেন।
সূত্র জানায়, মাতৃ-মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে গরীব ও দুস্থ মহিলাদের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা দিতে ২০০৮ সালের মার্চ থেকে দেশের ৩২টি জেলার ৩৩ উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মাতৃ ভাউচার স্কীম নামের প্রকল্প চালু করে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে একজন হতদরিদ্র মা নিবন্ধীকরণে ১০ টাকা, প্রসবপূর্ব দুইবার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য ১৪০ টাকা, প্রসব পূর্ব তিনটি চেকআপে ১৫০ ও প্রসবোত্তর একটি চেকআপে ৫০ টাকা, প্রতিবার যাতায়াত বাবদ ১শ টাকা, নিরাপদ (স্বাভাবিক) প্রসবে ৩০০ টাকা ও ঔষধ বাবদ ১শ টাকা অর্থাৎ মোট ৭শ ৫০ টাকা পাবে। তাছাড়া জটিল প্রসব ভ্যকুয়াম ডিএন্ডসির জন্য ১ হাজার টাকা, খিচুনীর (এক্লামসিয়া) ১ হাজার টাকা ও সিজারিয়ান সেকশন এবং ঔষধ বাবদ ৬ হাজার টাকা পেয়েছেন। সাথে প্রতি মা ও শিশুকে উপহার স্বরূপ ১টি তোয়ালে, ২টি শাড়ি, সাবান, টাকা দেয়া হয়। সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সহকারীরাও প্রতিটি সেবার জন্য বিভিন্ন হারে টাকা পেয়ে থাকেন। দেশের ৩৩টি উপজেলার মধ্যে মাদারীপুরের শিবচরে ২০০৮ সালে প্রায় ২১শ জন হতদরিদ্র মা, ২০০৯ সালে প্রায় ৩২শ মা এই সেবা পান। কিন্তু ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১৮শ মা এ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হলেও এদের কোন অর্থ দেয়া হচ্ছে না। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে চরাঞ্চল ও হতদরিদ্র মায়েদের প্রসূতিকালীন স্বাস্থ্যসেবা।
এরকমই এক মা সুফিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী ভ্যান চালাইয়া সংসার চালায়। সরকারি এই টাকাডা পাইলে একটু ভালমন্দ খাইতাম। পুলাডার ১৫ দিন বয়সে দুইবার হাসপাতালে আইলাম কিন্তু কিছু পাইলাম না। কবে দিবো তাও কিচ্ছু কয় না ?
দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী আফরোজা বেগম বলেন, এই প্রকল্প চালুর পর আমার এলাকায় মাতৃ-মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। তবে গত ৪ মাসে আমার ইউনিয়নে প্রায় ১২০ জন মা প্রসূতীকালীন সেবার অন্তর্ভুক্ত হলেও আমরা কোন সহযোগিতা করতে পারছি না। গরিব মানুষগুলো বারবার ঘোরাঘুরি করছে। তাছাড়া আমরাও এই প্রকল্পে কোন অর্থ পাচ্ছি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিয়ার রহমান বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় মায়েরা বারবার আমাদের কাছে এসেও কোন অর্থ পাচ্ছে না। দ্রুত আবারও অর্থ বরাদ্দ না করলে এ উপজেলার হতদরিদ্র মা ও শিশুদের প্রসূতিকালীন স্বাস্থ্যসেবা চরম ঝুঁকিতে পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটি মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছি। জরুরি ভিত্তিতে অর্থ ছাড় দেয়া উচিৎ।
এই প্রকল্পের শিবচর উপজেলা সমন্বয়কারী মো. কবির হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০০৯ সালে পর্যন্ত এ প্রকল্পের ফলে শিবচরের প্রসূতিকালীন মাতৃ-মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যের কোঠায় এসেছে। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় চলতি বছর কোন মাকেই এ সেবাগুলো দেয়া যাচ্ছে না।
Subscribe to:
Comments (Atom)







Bank+Officer+copy.jpg)















