আজ শুক্রবার মাওয়া-কাওরাকান্দি রুটের যানজট পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ফলে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাকভর্তি কাঁচামালে পচন দেখা দিয়েছে। উভয় ঘাটের প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অন্তত এক হাজার ১০০ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ ঘাট সূত্র জানায়, তীব্র নাব্যতা সংকট, দুটি ঘাট বিকল ও ফেরিস্বল্পতার সঙ্গে ফরিদপুরের জাকের মঞ্জিল ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিব উৎসবের ভক্তদের বহনকারী গাড়ির চাপে আজ ঘাট এলাকায় অচলাবস্থা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। একটি ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটে স্থানান্তর ও অপর একটি বিকল থাকায় যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া ১ ও ৩ নম্বর ঘাট নাব্যতা সংকটের কারণে প্রায়ই অচল বলে জানা যায়। ট্রাকচালক নজরুল ইসলাম বলেন, 'দুদিন ধরে পার হইতে না পারায় পেঁয়াজে পচন ধরছে। তা ছাড়া এই ঘাটে কোনো টার্মিনাল বা বিশ্রামাগার না থাকায় আমরা খেয়ে না-খেয়ে আছি।' বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান জানান, তীব্র নাব্যতা সংকটের কারণে কাওরাকান্দির দুটি ঘাট প্রায় অচল হয়ে পড়ায় এবং ফেরিস্বল্পতায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শিবচরে শিক্ষককে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি
শুক্রবার শেষ রাতে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ছলেনামা গ্রামে দুই শিক্ষকের বাড়িসহ ৪ বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল কুপিয়ে সামসুদ্দিন হাওলাদার, তার ছেলে শাহীন হাওলাদার ও মেয়ে নাজমা আক্তারকে গুরুতর আহত করে। সামসুদ্দিন হাওলাদার ও শাহীনকে রাতেই আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায় , শুক্রবার রাত আনুমানিক আড়াই টায় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সজ্জিত ২০/২৫ জনের ডাকাতদল স্কুল-শিক্ষক মিজানুর রহমান ফারুকের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিচিতদের দিয়ে পার্শ্ববর্তী অপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবুল হোসেন, ব্যবসায়ী সামসুদ্দিন হাওলাদার ও হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ঘরে ঢুকে লুটপাট চালায় ডাকাতরা। ডাকাতদল এসময় নগদ টাকা স্বর্ণালংকার, মোবইল সেটসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে। এসময় চাবি দিতে দেরি হওয়ায় ডাকাতরা সামসুদ্দিন হাওলাদার (৫১), তার ছেলে শাহীন হাওলাদার (২৫) ও মেয়ে নাজমা আক্তার (২৩) কে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ডাকাতদল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে রতন শেখ (৩২) নামের এক ডাকাতকে ব্যবহৃত রাম দা ও একটি মোবাইল সেটসহ আটকে রাখে আহতরা। এসময় এলাকাবাসী আটক ডাকাতকে গণপিটুনী দেয়।
রাতেই শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিলসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে ধৃত ডাকাতকে গ্রেফতার করে রামদা ও মোবাইল সেটটি জব্দ করে। ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের ধরতে এখনো অভিযান চলছে। রাতেই আহত সামসুদ্দিন হাওলাদার ও শাহীন হাওলাদারকে ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। ডাকাত রতন শেখকে আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
Subscribe to:
Comments (Atom)