(০৫ জুন ২০১০) ১২ বছর পুর্বে পরিত্যাক্ত ঘোষিত শিবচর পৌরসভার বাবুবাড়ি খ্যাত পরিত্যাক্ত ৫টি ভবনে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে বাস করছে ৪৩ পরিবার। যে কোন সময় বড় ধরনের প্রাণহানীর আশঙ্কা করা হলেও প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
জানা যায়, বাবুবাড়ি খ্যাত ৩টি ভবন ও রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজ শিক্ষকদের আবাসিক ভবন ২টি ১২ বছর পূর্বে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয় । বাবুবাড়ির ৩ টি ভবনে ৩৫ এবং কলেজ ভবনে ৮জন শিক্ষক পরিবারের বসবাস । জরাজীর্ণ ভবনগুলোর একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে, খসে গেছে দেয়ালের প্লাস্টার। প্রায় ১২ বছর আগে ভবন পাঁচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর ২০০৩ সালে কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর জন্য দায়ী নয় সংক্রান্ত মুচলেকা নিয়েই দায় সেরেছে।
ওই ভবনের বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী সাহা জানান, "মুক্তিযুদ্ধের পরে আমাগো বাড়ির জায়গা দখল হওয়ায় এই পুরনো ভবনে উঠেছিলাম । এটি ভেঙ্গে দিলে আমরা আর ফেরত পাবনা । সাত বছর আগে সরকারি লোক আইসা আমাগো কাছ থিকা লিখিত নিয়া গেছে। এই বিল্ডিং ভাইঙা পইড়া মানুষ মারা গেলে সরকার দায়ী নয়, শর্তেই সরকার আমাগো থাকত দেয়"।
ব্যবসায়ী সুধীর সাহা বলেন, "৮২ সালে সরকার আমাগো কাছ থিকা ডিসিআরে (খাজনা) টাকা ও তারপর আরো ছয় বছর খাজনার টাকা নিছিলো। এরপর আর আসে নাই। তবে এই জমি গুলো আমাগো নামেই নথিভুক্ত করেছে। ভাংগাচুরা ভবনে থাকতে ভয় লাগে কিন্তু যামু কই? এই জায়গা একবার ছাড়লে আর উঠতে পারমু না। তাই মৃত্যুর ঝুকি নিয়েই থাকি"।
রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুল্লাহ মিয়া বলেন, ওই ভবনগুলোতে বসবাস করা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের ২টি আবাসিক ভবন অপসারণের জন্য আবেদন পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অধ্যক্ষ স্বীকার করেন, ভবনগুলো ভেঙ্গে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের প্রাণহানীর আশংকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাশ জানান, ভবনগুলোর ব্যাপারে প্রকৌশলীর মাধ্যমে আবারও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবনগুলো অপসারণ করলে ওই জায়গায় বর্তমান বসবাসকারীদের টিনসেড ঘর নির্মাণ করে বসবাসের সুযোগ দেয়া হবে। অন্য কেউ এখানে থাকার সুযোগ পাবেনা।
