সাইট উন্নয়নে আপনাদের লেখা ও পরামর্শ চাচ্ছি-সম্পাদক

এ যেন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা !

ধার করা টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেরৎ নিয়ে আসা হয়েছে নিজ দেহে কিরোসিন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিবচর পৌরসভার ভ্যানচালকের মেয়ে লাবনী আক্তারকে(২০)। 
ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লাবনী। বিমর্ষ অসহায় পরিবারটিতে যেন মৃত্যুর জন্যই অপেক্ষা চলছে। 
পারিবারিক সূত্র জানায়, শিবচর পৌর এলাকার যাদুয়ারচর এলাকার ভ্যানচালক নুরুল ইসলাম বাসারের বড় মেয়ে লাবনী আক্তারের সাথে নিকটাত্মীয় রংপুরের চিলমাড়ি এলাকার মোহাম্মদ আলীর দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে প্রেম চলছিল। এরই সূত্র ধরে গত ১৫ দিন আগে মোহাম্মদ আলী লাবনীদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ৫ দিন অবস্থানের পর মোহাম্মদ আলী তার কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে যায়। কিন্তু লাবনী আক্তার ও মোহাম্মদ আলীর চলাফেরায় সন্দেহ হলে গত শুক্রবার (৫ মার্চ) অভিভাবকরা লাবনীর মোবাইল সেটটি নিয়ে যায় ও বাড়িতে কলহ হয়। এরই সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১ টায় নিজ বাড়ির উঠানে নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন শরীরে ছড়িয়ে পড়লে তার আর্ত্মচিৎকারে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। বুধবার দুপুরের মধ্যে লাবনীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। কিন্তু সাথে নেয়া ধার করা ১০ হাজার টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় উপায় না পেয়ে অসহায় পরিবারটি রাতেই লাবনীকে নিয়ে আসে শিবচরে। স্থানীয়ভাবে হাসপাতালে তিলের তেল ও কেঁচোর তেল দিয়ে লাবনীকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। হাতের রগ চিহ্ণিত করতে না পারায় স্যালাইন দেয়া যাচ্ছে না। 
লাবনী মৃদু কণ্ঠে বলেন, আমার বাঁচতে ইচ্ছা করে। আমাকে বাঁচান। 
লাবনীর মা রুবিহা বলেন, আমার কইলজার টুকরা আমার সামনেই মইরা যাইতাছে। টাকার অভাবে আমরা চিকিৎসা করাইতে পারতাছি না। টাকার অভাবে বাধ্য হইহা ওরে শিবচর আনছি। কি করমু? 
লাবনীর মেজো মামি রিজি বেগম বলেন, লাবনীরা ৫ বোন ১ ভাই নিয়ে বড় অভাবের সংসার। আমরা আত্মীয় স্বজন প্রায় সকলেই গরীব। ভাগ্নির বাঁচার আর্তি শুনেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। 
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম তমাল বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করালে মেয়েটির বাঁচার সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি করেও শিবচর নিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা কোন চিকিৎসা দিতে পারছি না। 
লাবনীকে বাচাঁতে সহযোগিতা করতে ওর সেঝো মামা সিদ্দিক মিয়ার মোবাইলে (০১৯২২৯০৩১১৫ যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পরিবারটি।
Read More ... »

শিবচরে দুই দিনে ভস্মীভুত ৩৩টি ঘর ও জমির ফসল : ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধ কোটি টাকা

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নে কাবিলপুর গ্রামে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ১২টি ঘর ও ২৮ কাঠা জমির ফসল ভস্মীভুত হয়েছে । এতে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার , গবাদি পশুসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এনিয়ে গত দুদিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আগুনে ৩৩টি ঘর, ফসলি জমিসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলো। 
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে উমেদপুরের কাবিলপুর গ্রামের হালান মাদবর, সেকান মাদবর, মান্নান মাদবর, নুরন্নবী মাদবর, মজিবর মাদবরসহ ৭ শরিকের বসতঘরসহ ১২টি ঘর ভস্মীভুত হয়। অপর এক অগ্নিকাণ্ডে একই গ্রামের আঞ্জু ফকির, কোটন মুন্সী, ছালাম ফকির ও দেলোয়ার ফকিরের ২৮ কাঠা রসুন, কালিজিরা ও ডালসহ বিভিন্ন ফসল ভস্মীভুত হয়। 
অপরদিকে বুধবার অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ্চর ইউনিয়নের খানাকান্দি গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে হাশেম মাদবর, ইমাজউদ্দিন মাদবর, হাবি মাদবর, কলিমুল্লাহ মাদবরের বসতঘরসহ ৬টি ঘর পুড়ে যায়। কুতুবপুর হাজী লালু বেপারিকান্দি এলাকায় ইনছান মাদবর, দাদন ফকির, হাচান হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদারের বসত ঘরসহ ১০টি ঘর পুড়ে যায়। ভদ্রাসন এলাকার মিনাকান্দিতে অগ্নিকান্ডে রমিজউদ্দিন সিকদার, মজিবর সিকদার ও সামাদ সিকদারের বসতঘরসহ ৫টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এসকল অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Read More ... »
Widget By Devils Workshop
 

আজকের চাঁদ

CURRENT MOON

© 2009-2010 shibcharsangbad | Design by: Md. Abul Hossain Miah

^ উপরে আসুন