পদ্মানদীর পানি তড়িৎ গতিতে হ্রাস পাওয়ায় কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটে অসংখ্য ডুবোচর দেখা দিয়েছে। দিন দিন নদীর তলদেশে পলি ভরাট হয়ে নাব্যতা সংকটে বর্তমানে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটে কাঁঠালবাড়ি-চরজানাজাত টার্নিং পয়েন্টে চ্যানেলটি গত কয়েক মাস ধরে অতিরিক্ত পলি পরে ভরাট হয়ে নাব্যতা সংকটে পড়লে মঙ্গলমাঝির ঘাট ও তারপাশা হয়ে কাওড়াকান্দি-মাওয়ার সাথে ফেরি পারাপার করতে হচ্ছে। এতে প্রায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার রাস্তা বেশি অতিক্রম করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলু রাখা হয়েছে। কাঁঠালবাড়ি-চরজানাজাত টার্নিং পয়েন্টে চ্যানেলটি গত দেড় মাস যাবত ড্রেজিং মেশিন দ্বারা সংস্কারের কাজ অব্যহত থাকলেও এর থেকে কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কচ্ছপ গতিতে মেশিনটির কাজ চলতে থাকায় দিন দিন সমস্যা আরো প্রকাট আকার ধারণ করছে।
বর্তমানে কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে ২টি রোরো,৩টি ফ্লাট ও ৪টি ক্যাপাট ফেরি। বাকী ২টি ফ্লাট ফেরির ইঞ্জিন বিকল থাকায় ডকে রয়েছে। রোরো 'শাহ মকদুম' ও 'ভাষা শহিদ বরকত' সহ ফ্লাট ফেরিগুলো অসংখ্য ডুবো চরের কারণে খুড়িয়ে খুড়িয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। নদীপথের এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণ, পশ্চিম অঞ্চলের তেইশটি জেলার মানুষ। নাব্যতা সংকটে ফেরি পারাপারে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগায় কাওড়াকান্দি-মাওয়ার দুই পাড়ে প্রতি দিন শত শত গাড়ি ও ট্রাক আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রো রো ফেরি মাহ মকদুম-এর চালক মো: সিরাজী জানান, অতি দ্রুতভাবে কাঁঠালবাড়ি চর জানাজাত টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেল চালু না হলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রো রো সহ সকল ধরনের ফেরিগুলো ডুবো চরের কারণে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়বে।