
ডাকাতির সময় গত বুধবার রাতে ঘর মধ্যে দুই ডাকাতকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে শিবচর থানা পুলিশ। এছাড়া পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করে আরও দুই ডাকাত। পুলিশ ডাকাতদের কাছ থেকে একটি কাটা রাইফেল, একটি পাইপ গান, একটি চাপাতি ও একটি ডেগার উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারের সময় ডাকাতের হাতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
শিবচর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক দিন আগে শিবচরের বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ছলেনামা গ্রামে ও সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের পাটকান্দি এলাকায় দুই বাড়িতে ডাকাতির হয়। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতে পুলিশ টহল আরও জোরদার করা হয়। গত বুধবার রাতে বহেরাতলা ইউনিয়নের লপ্তের সরকারের চর গ্রামের (বারো ঘর) আমিনুল হাওলাদারের ঘরে সিঁদ কেটে ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দল প্রবেশ করে। গোপন সংবাদ পেয়ে শিবচর থানার ওসি আবদুল জলিলের নেতৃত্বে পুলিশ ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। পুলিশের টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ দুর্ধর্ষ ডাকাত ডালিম খান (২৭) ও বোরহান খানকে (৩০) ঝাপটে ধরে। এ সময় ডকাতের কামড়ে শিবচর থানার এস আই শেখ আবদুল্লাহ ও এস আই মো. আনোয়ার আহত হন। আটককৃত দুই ডাকাতের স্বীকারোক্তি মতে একটি কাটা রাইফেল, একটি পাইপ গান, একটি চাপাতি ও একটি ডেগারসহ শরাফ উদ্দিন (২৮) নামের এক ডাকাতকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। রাতে ডাকাতি শেষে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ভাঙ্গা উপজেলার কালা মৃধা বাজার থেকে ওই ডাকাত দলের সর্দার বজলু দফাদারকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতদের কাছ থেকে গত ১২ফেব্র“য়ারি সংঘটিত ছলেনামা ‘হাওলাদার বাড়ি’র ডাকাতি হওয়া একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আহত দুই পুলিশ পুলিশ কর্মকর্তা শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত ডালিম খান বহেরতলা ইউনিয়নের সেনেরবাট গ্রামে মৃত আবদুস সাত্তার খানের ছেলে, বোরহান খান একই গ্রামের গিয়াস খানের ছেলে, শরাফ উদ্দিন নিলখি ইউনিয়নের কলাতলা গ্রামে শাজাহান চৌকদারে ছেলে এবং ডাকাত সর্দার বজলু শিরুয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব কাকইর গ্রামের আবদুল খালেক দফাদারের ছেলে।
