শিবচর উপজেলার খাড়াকান্দি গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি ফয়জুল শেখ (৪৫) নারীলোভে সর্বসমেত ২১টি বিয়ে করলেও অধিকাংশই ঘটেছে লোকচক্ষুর আড়ালে। প্রকাশ্যে তিনি স্বীকৃতি দিয়েছেন চার স্ত্রীকে। তাদের গর্ভে আসা ১০ সন্তানের তিনজন বর্তমানে প্রবাসে আছে। বছর দেড়েক আগে এই প্রৌঢ় নিজ এলাকার মেয়ে নাসিমা আক্তারকে (১৭) বিয়ে করেন। শেষাবধি গোপন আর গোপন না থাকায় ব্যাপারটি সবার মুখে মুখে প্রশ্ন হয়েই দেখা দেয়। ফলে গত শনিবার স্থানীয় মাতব্বর মতি হাওলাদার ও মেম্বার আইয়ুব আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে বিচার সভা বসে। এতে ফয়জুল শেখ অভাবী মেয়েদের দুর্দশা বুঝে টাকা-পয়সা ঢেলে বিয়ের নামে তাদের শয্যাসঙ্গিনী বানানোর কথা স্বীকার করেছেন।
ওই বিচারে নাসিমাকে ২১তম স্ত্রী করে নেওয়ার কাগজপত্র প্রমাণপত্র হিসেবে দেখানো হলেও কঠিন রায়ই মিলেছে তার ভাগ্যে। তাতে অপরাধীকে প্রায় হাজার জনতার উপস্থিতিতে ৪১ বার জুতাপেটা করা বাদেও নেওয়ানো হয়েছে নাকেখত। সেই সঙ্গে তার নবজাতক কন্যাটির লালন-পালনার্থে ফয়জুল শেখের কাছ থেকে আদায় করা হয় এক লাখ টাকা। আর ভবিষ্যতে সাবধান থাকার প্রশ্নে বিচারক তাকে জানিয়ে দিয়েছেন অন্য রকমের কথা। এতে বলা হয়েছে, অপরাধী ২১তম স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে কখনও দেখতে গেলে ফের ভাগ্যে মিলবে এই জুতাপেটা এবং নাকেখত।
ওই বিচারে নাসিমাকে ২১তম স্ত্রী করে নেওয়ার কাগজপত্র প্রমাণপত্র হিসেবে দেখানো হলেও কঠিন রায়ই মিলেছে তার ভাগ্যে। তাতে অপরাধীকে প্রায় হাজার জনতার উপস্থিতিতে ৪১ বার জুতাপেটা করা বাদেও নেওয়ানো হয়েছে নাকেখত। সেই সঙ্গে তার নবজাতক কন্যাটির লালন-পালনার্থে ফয়জুল শেখের কাছ থেকে আদায় করা হয় এক লাখ টাকা। আর ভবিষ্যতে সাবধান থাকার প্রশ্নে বিচারক তাকে জানিয়ে দিয়েছেন অন্য রকমের কথা। এতে বলা হয়েছে, অপরাধী ২১তম স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে কখনও দেখতে গেলে ফের ভাগ্যে মিলবে এই জুতাপেটা এবং নাকেখত।