১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে শিবচরের নুরুল আমিন বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজে ছাত্ররা শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। দুপুর ১২টার দিকে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা কলেজের সামনে না টানিয়ে কলেজের পায়খানার ছাদে ফেলে রাখা হয়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, শোক দিবসের কর্মসূচী পালনের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় কলেজে গিয়ে কলেজের গেট বন্ধ পাওয়া যায়। কলেজে কোন পতাকা টানানো হয় নাই। পরে কলেজের অধ্যক্ষের মোবাইলে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এতে কলেজের ছাত্রলীগসহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকাল ১০টার সময় কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা কলেজের পায়খানার ছাদে ফেলে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শিবচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয়।জানা যায়, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল আমিন বেপারী বিকল্প ধারার কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতা। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ লুৎফর রহমান নুরুল আমিন বেপারীর ছোট ভাই। উমেদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ দাদন হাওলাদার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই বিএনপি করে। বর্তমানে বিকল্প ধারার রাজনীতি করেন। জাতীয় শোক দিবসে কলেজের ঘটনাটা আসলেই ঘৃণিত দোষীদের বিচার হওয়া উচিত। শিবচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সামসুদ্দিন খান বলেন, কলেজের ছাত্রলীগের ফোন পেয়ে কলেজে গিয়ে দেখি দুপুর ১২ টার সময়ও কলেজের সামনে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা টানানো নেই। পতাকাগুলো বাথরুমের ছাদে পরে আছে। জাতীয় শোক দিবসে এমন একটা ঘটনা খুবই ন্যাক্কার জনক। আজ বিকেলের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, কলেজে সকালেই পতাকা টানানো হয়েছিলো। তবে ওটা পরে কলেজের ছেলেরা কলেজের পায়খানার ছাদে ফেলে দিয়েছে। কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি খালেদ হাসান পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম ছাত্রদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগের বিপরীত রাজনীতি করে বলেই তারা এ জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। জাতীয় পতাকা খারাপ জায়গায় ফেলে রেখে তারা শুধু ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকেই অপমান করে নাই। তারা সারা দেশকে অপমান করেছে। আমরা এটার সঠিক বিচার দাবী জানাই।
এ.কে.এম. নাসিরুল হক: শিবচরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট পালিত হয়। শিবচর পৌরসভা ও উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়।