(১১ জুন ২০১০) আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের বড়দোয়ালি গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ও একটি প্রাচীর নির্মাণের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে ১জন টেঁটাবিদ্ধ হন। এছাড়া এলোপাতারি মারপিটে উভয় পক্ষের বৃদ্ধ, মহিলা, পুরুষ ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০জন গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টার সময় পাঁচ্চর ইউনিয়নের বড় দোয়ালি গ্রামের শিকদার বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধ ও শুক্রবার সকালে বাড়ির উঠোনের উপর দিয়ে একটি প্রাচীর (ওয়াল) নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও একই বাড়ির চাচা-ভাতিজাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নেয়। মারামারি থামাতে গিয়ে প্রতিবেশী শালিসরাও আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র ছ্যান, রামদা, টেঁটা, জুতি ও কাতরা, নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে হামলা চালায়। প্রতিবন্ধী (হাতকাটা) মমিন শিকদার (৭০) এবং তার স্ত্রী মজিদন নেছা (৫০), ও তার ছেলে রশিদ শিকদার (৩৫), লুৎফর শিকদারকে (৩২) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালে মোবারক শিকদারের (৪০) ডান হাতের কব্জিতে টেঁটাবিদ্ধ হয়। এছাড়া বাচ্চু শিকদার (৩৪), মোঃ দবির শিকদার (৩৮), মোঃ সেলিম শিকদার (২৫) ও ভানু বিবি (৫০), হাবিব শিকদারের মা চন্দ্র বান বিবি (৫০), স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম (৩৮) ছেলে ফয়সাল (১০) মোরছালিন (১২) ভাবী সাথী আক্তারকে (৩৫) প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষের আহত ১২ জনকে বর্তমানে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল বলেন, উভয় পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment