(৩০ জুন, ২০১০) :: আজ (বুধবার) দুপুরে শিবচরের পাঁচ্চর বাজারের বিভিন্ন ফলের দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৬ মণ বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত আম জব্দ করে সেগুলো ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিষাক্ত কার্বাইড মিশ্রিত আম বিক্রির অপরাধে পাঁচ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সূত্র জানায়, দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাঁচ্চর বাজারের বিভিন্ন ফলের দোকানে অভিযান চালায়।
বজ্রপাতে পিতা ও কন্যার মৃত্যু : ৭ ছাত্রী আহত
(২৯ জুন, ২০১০) :: আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শিবচরের উমেদপুরে বজ্রপাতে পিতা ও কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়াও উমেদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ ছাত্রী আহত হয়েছে। আহত ছাত্রীদের স্থানীয় উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ৩ টার দিক সাবেক কমলাপুর গ্রামে প্রথমে হাশেম হাওলাদারের বাড়ির নারকেল গাছে একটি বজ্রপাত পড়ে ঘরের টিনের চালে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই গৃহকর্তা হাশেম হাওলাদার (৭৫) ও তার মেয়ে ৩ সন্তানের জননী রাহেলা বেগম (৪০) নিহত হয়। অপরদিকে একই সময় উমেদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি বজ্রপাত ঘটলে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সোনিয়া আক্তার, মৌসুমি আক্তার, নুপুর, এমিলি, তানজিলাসহ ৭ ছাত্রী আহত হয়। ছাত্রীদের আহতাবস্থায় স্থানীয় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে ৮৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
(২৯ জুন,২০১০):: ভারতীয় সীমান্ত হয়ে অভিনব কায়দায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য। আজ (মঙ্গলবার) সকালে মাইক্রোবাসের যাত্রী আসনের পাটাতনের নীচে বিশেষ বক্স তৈরি করে অভিনব কায়দায় ফেন্সিডিল পাচারকালে ৮৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট থেকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আসাদুল ইসলাম জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশের একটি দল কাওড়াকান্দি ঘাটে যশোর থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩-০৭৯১) অভিযান চালায়। এসময় চালক ও যাত্রীর আচরণে সন্দেহ হলে যাত্রী বসার আসনের পাটাতনের নীচে বিশেষ কায়দায় তৈরি বক্স থেকে ৮৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় ফেনসিডিল ব্যবসায়ী যশোরের আমড়াখালি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ (৪০) ও মাইক্রোবাস চালক নোয়াখালীর মহেশপুর গ্রামের মোহম্মদউল্লাহর ছেলে বেল্লাল হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার ও মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্লট বরাদ্দসহ কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা : বিভাগীয় শহরের বাইরে দেশের প্রথম আবাসিক প্রকল্প শিবচরে
(২৯ জুন, ২০১০) :: জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে বিভাগীয় শহরগুলোর পর এ প্রথম কোন উপজেলা শহরে স্বল্প ও মাধ্যম আয়ের নাগরিকদের জন্য হাউজিং প্রকল্প আবাসিক প্লট নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকা থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরত্বে এই আবাসিক প্রকল্পটি স্যাটেলাইট শহরের আদলে গড়ে তোলা হবে।
বিদ্যুৎ,পানি,ড্রেনেজসহ সকল নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন এ আবাসন প্রকল্পটির প্লট বরাদ্দের জন্য এক সংবাদ সম্মেলনে শিবচর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আ. কাদের খান মিলু আবাসন প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
শিবচর পৌরসভা মিলনায়তনে আজ (মঙ্গলবার) সকালে সংবাদ সম্মেলনে শিবচর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জানান, দেশের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের নাগরিকদের জন্য পৌর এলাকার নলগোড়া ও ঠেংগামারা মৌজায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় হাউজিং প্রকল্প আবাসিক প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। এই প্রথম কোন উপজেলা শহরে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের নাগরিকদের জন্য হাউজিং প্রকল্প আবাসিক প্লট নির্মাণ করা হয়। মোট ১৯ দশমিক ৬২ একর জমির উপর এ প্রকল্পে ৫ কাঠার ১০৯টি প্লট এবং ৩ কাঠার ৪৯টি প্লট থাকবে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক প্লট ৭টি, একটি মসজিদ, একটি খেলার মাঠ ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। ৫ কাঠা প্লটের জন্য ১ লাখ এবং ৩ কাঠা প্লটের জন্য ৬০ হাজার টাকা জামানত প্রয়োজন হবে। প্রতি কাঠা জমির মূল্য ধরা হয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
আবাসিক প্লট বিতরণের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্লট পেতে আগ্রহীরা আগামী ২৭ জুলাই ২০১০ এর মধ্যে আবেদেন ফরম ক্রয় করতে পারবেন এবং ২৯ জুলাই আবেদন জমা দেয়ার শেষ তারিখ বলে তিনি জানান। ইতোমধ্যেই মাটি ভরাটের লক্ষ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্ব শাসিত সংস্থার চাকুরিজীবী, বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং বিদেশে কর্মরত ওয়েজ আর্নার, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক, ক্রীড়াব্যাক্তিত্ব, শিল্পী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মধ্যম আয়ের লোকরা এ প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পাবেন বলে তিনি (মেয়র) জানান। আবেদনপত্র ও ফরম গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকার মিরপুর-১ ও ২ ডিভিশন কার্যালয় ছাড়াও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সকল কার্যালয়ে পাওয়া যাবে। ফরমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩শ’ টাকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবচর পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন খান, পৌরসভার সচিব মো. মোকলেসুর রহমান তালুকদার ও পৌরসভার কাউন্সিলরগণ।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য,জাতীয় সংসদের হুইপ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য নূর-ই-আলম চৌধূরী লিটন বলেন, গত শনিবার আমি জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের বক্তবে ঢাকা শহরে আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শিবচরসহ ঢাকার চারপাশে বিভিন্ন উপজেলায় স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ করার দাবী জানিয়েছি। এর অংশ হিসেবে শিবচরে আবাসন হাউজিং প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে শিবচরকে স্যাটেলাইট শহর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বীজাগার ভেঙে রড বিক্রি করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
(২৬ জুন, ২০১০) :: সড়ক ও বাজার সম্প্রসারণের নামে শিবচরের চান্দেরচর বাজারে একটি পরিত্যক্ত সরকারি বীজাগার ভেঙে রড বিক্রি করে দিয়েছে উমেদপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। বৃহস্পতিবার সারা রাত ধরে তারা এ কাণ্ড ঘটায়।
শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় উমেদপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাদন হাওলাদার তার ৭০/৮০ জন সমর্থক নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বীজাগারটি ভাঙা শুরু করে। ভবনটি ভেঙে রডগুলো সরিয়ে ফেলে তারা। উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশ খবর পেয়ে ভোরে সেখানে গেলে দাদন হাওলাদারের লোকেরা সরে পড়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'একটি মহল ওই জায়গায় মার্কেট করতে চায় বলে শুনেছি। তারাই ভবনটি ভেঙে রড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।'
পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, 'ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছি, উমেদপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান দাদন হাওলাদার ও তার লোকজন কাজটি করেছে। ভবনটি থেকে সরিয়ে নেওয়া প্রায় ৮০০ কেজি রড একটি দোকানে পাওয়া গেছে।'
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল বলেন, 'চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক। কৃষি কার্যালয় মামলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে দাদন হাওলাদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সড়ক ও বাজার সমপ্রসারণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ ও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরিত্যক্ত ভবনটি ভাঙা হয়েছে। ভবনটি কার_তা জানেন না তিনি। ভবনের রডগুলো বিক্রি করে শ্রমিকদের খরচ মেটানো হয়েছে বলে জানান তিনি।'
ওয়েট স্কেল না থাকায় মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে মেয়াদোত্তীর্ণ ফেরি দিয়ে ওভারলোড শত শত ট্রাক পারাপার : বড় ধরনের প্রাণহানির শঙ্কা
(২৪ জুন, ২০১০) :: ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকার সুযোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শত শত ওভারলোড ট্রাক নিয়ে লক্কর ঝক্কর ফেরিগুলো চরম ঝূঁকি নিয়ে প্রতিদিন মাওয়া-কাওড়াকান্দির উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের প্রাণহানির শংকা করছেন খোদ সংশ্লিষ্টরা।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, যমুনাসেতু ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ওজন পরিমাপক (ওয়েট স্কেল) থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অতিরিক্ত বোঝাই ট্রাকসহ ভারী যানবাহনগুলো কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুট বেছে নিয়েছে। পণ্যবাহী প্রায় যানবাহনগুলোই ২০ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত মালামাল নিয়ে ফেরিগুলোতে উঠে দীর্ঘ পদ্মা পারাপার হয়। সূত্র আরো জানায়, আন্তজার্তিক মেরিনটাইপ সংস্থার (আইএমও) কোড অনুযায়ী বাংলাদেশে চলাচলরত ফেরিগুলো ৩০ বছর চলার কথা থাকলেও মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটের ফেরিগুলো অতি পুরাতন ও মেয়াদোত্তীর্ণ। এরমধ্যে ১৯৬৩ সালে মিডিয়াম টাইপ ফেরি যশোহর; ফ্লাট ফেরিগুলোর মধ্যে ১৯৩৮ সালে থোবাল ও যমুনা; ১৯২৫ সালে রানীক্ষেত, রায়পুরা, রানীগঞ্চ ও টাপলো; ১৯৭৩ সালে ফেরি কেটাইপ কুমারী, কামিনী ও ১৯৬৩ সালে ভিভিআইপি ফেরি কর্ণফুলী নির্মিত হয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে প্রায়শই ফেরিগুলোর ইঞ্জিন ও পল্টুনের ডেক প্লেট, র্যাম্প, ফেরির ঢালা ও পাটাতন, র্যাম্পের কব্জাসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে ফেরিগুলো বিকল হয়ে যায়।
কাঠবোঝাই ট্রাক ড্রাইভার ইদ্রিস মিয়া বলেন, যমুনায় ও আরিচা রুটে ওজন মাপার মেশিন থাকায় আর এই ঘাটে কোন বাঁধা না থাকায় আমরা ভারী ট্রাক নিয়া সবসময়ই মাওয়া দিয়াই পার হই।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড মাস্টার ওয়েলফেয়ার এসোশিয়েশনের (ফেরি চালকদের সংগঠন) সভাপতি ইদ্রিস হোসেন সিরাজী বলেন, এ রুটের পুরাতন ফেরিগুলো চরম ঝূঁকি নিয়ে ২৫-৩০ টনের ট্রাকগুলো নিয়েই সবসময় ১৭ কিলোমিটার দূরত্বের দীর্ঘ পদ্মা পার হই।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় পাড়ে ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকার সুযোগে ২৫-৩০ টনের ট্রাকগুলো নিয়ে সবসময় পারাপার হওয়ায় ফেরিগুলোও প্রতিনিয়ত মেরামত করে পরিচালনা করতে হচ্ছে। ওজন পরিমাপক যন্ত্রের সাথে সাথে যানবাহন সংশ্লিষ্টদের সচেতন হতে হবে।
কাওড়াকান্দি ফেরির রোলিংয়ে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
(২২ জুন, ২০১০) :: শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৮টায় একটি রো রো ফেরির রোলিংয়ে চাপা পড়ে এক কভার ভ্যানের হেলপার নিহত হয়েছে।
শিবচরের পাঁচ্চর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট আসাদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাওয়া থেকে একটি রো রো ফেরি কাওড়াকান্দি ঘাটে ভিড়লে একটি কভার ভ্যান (চট্ট-ট-১১২৪২৫) আনলোড করার সময় কভার ভ্যানের ছাদে ঘুমিয়ে থাকা কভার ভ্যানের হেলপার সাদ্দাম হোসেন ফেরির রোলিংয়ের সাথে চাপা খেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটি আটক করে।
শিবচরের শীর্ষ চরমপন্থী মনির মোল্লাসহ ৩ চরমপন্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ : ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
(২২ জুন, ২০১০) :: শিবচরের শীর্ষ চরমপন্থী সর্বহারা পার্টির আঞ্চলিক নেতা মনির মোল্লাসহ ৩ চরমপন্থীকে আজ ভোররাত (৪টায়) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার শিবচর থানার ওসি আ. জলিলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দুর্ধর্ষ মনির মোল্লাকে ভোররাতে ঢাকার রামপুরা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে অপর দুই চরমপন্থী পলাশ মাদবর ও দেলোয়ার সিকদারকে ঢাকা থেকেই গ্রেফতার করে। এরপর ওই ৩ চরমপন্থীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিবচরের চরমপন্থী অধ্যুষিত নিলখির বাগমারা থেকে ৩টি বিদেশি বন্দুক, ২টি কাটা বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত মনির মোল্লার বিরুদ্ধে ২০০১ সালে পুলিশকে হত্যা করে ফাঁড়ি লুটসহ অন্তত ৭টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ,ডাকাতিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। অপর দু’জনের বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রযেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিপুল অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধানে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে পুলিশ জানায়।
প্রকাশ্যে মাছ নিধন উৎসব : বিল পদ্মায় নদীজোড়া অবৈধ বাঁধের ছড়াছড়ি
(২১ জুন, ২০১০) :: শিবচরের বিল পদ্মায় অন্তত ৬০টি নদীজোড়া আড়াআড়ি বাধ দিয়ে নির্বিচারে ডিমওয়ালা ও পোনামাছসহ সকল প্রজাতির মাছ নিধন শুরু হয়েছে। প্রকাশ্যে অবৈধভাবে মাছ নিধনের এ উৎসব চললেও যেন দেখার কেউ নেই। বিষয়টির সতত্যা স্বীকার করে বিস্ময়করভাবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দায়ভার চাপালেন জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের উপর।
একাধিক সূত্র জানায়, শিবচর ও মাদারীপুরের দক্ষিণ কোণে ও শিবচর পৌর এলাকায় বহমান ‘বিল পদ্মা’ বিলে স্রোত কম থাকায় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে আড়িয়ালখাঁ নদ থেকে প্রতিবছর বর্ষায় অসংখ্য মা মাছ ডিম ছাড়তে আসে। এ সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বর্ষার শুরুতেই অন্তত ৬০টি নদী জোড়া আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে বিল পদ্মায় (ক ও খ বিলে) মাছ নিধন শুরু করেছে। এরমধ্যে বিল পদ্মা-খ-তেই অর্ধ শতাধিক ছোট-বড় বাঁধ রয়েছে। এক একটি বাঁধে কয়েক বাঁশ গেড়ে মশারি,ছালা বা কারেন্ট জাল দিয়ে ঘেরা। নিচে মাছ আটকানোর ফাঁদ দোয়াইর ও বরশি। বাঁধগুলোর কোনটি বিলের মাঝামাঝি আবার কোনটি সম্পূর্ণ বিলজুড়ে রয়েছে। ফলে চিংড়ি, রুই, কাতলা, আইড়, পাঙ্গাস বোয়ালের মা মাছ ও পোনাসহ সকল মাছ আটকা পড়ছে। বাঁধগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে ছালা জাল। অথচ সাড়ে ৪ সেন্টিমিটার ফাঁসযুক্ত জালের নিচে জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাছাড়া প্রতিবন্ধকতামূলক বাঁধ আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে।
সেখপুরের ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘এই বিলে সাধারণ মানুষ কেউ মাছ ধরতে পারে না। যাগো টাহা আছে তারা বান দেয়।’
বাঁশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মৎস্য কার্যালয়ের লোকজন সবসময়ইতো আসা যাওয়া করে। তারা দেখেওতো কিছু বলে না। তাহলে আমাদের কি বলার আছে?’
বিল পদ্মা-খ-এর ইজারাদার জয়নাল সিপাহি বলেন, ‘প্রাকৃতিক মাছ এই সময় আড়িয়াল খাঁ থেকে বিলে উঠে তাই সব বাঁধই নদীর আধা আধি। মাছ নামার সময় অর্থাৎ আশ্বিন মাস থেকে নদীজোড়া বাঁধ দেয়া হয়। বৃটিশ আমল থেকেই এভাবে চলছে। প্রতি বাঁধ বাবদ জেলেরা আমাদের দেড়-দু’হাজার টাকা দেয়। এখন এই বাঁধ দিয়ে শুধু চিংড়ি মাছ ধরা হচ্ছে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল মামুন বলেন, ‘বিল পদ্মা ক ও খ বিল দু’টি প্রায় ৭ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছে ইজারাদার। প্রতি বছরই ইজারা হার ১০ ভাগ বাড়ে। এই টাকা পুষিয়ে নিতেই ইজারাদাররা বাঁধসহ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকে।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. এ.কে.এম আমিনুল বলেন, ‘চর দখলের মতো বিল পদ্মায়ও অবৈধ বাঁধ বসেছে। কিন্তু বাঁধ অপসারণের কাজ জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের, মৎস্য দপ্তরের নয়। আমরা তাদের আগেও জানিয়েছি। আবারও জানাবো।’
ধান-বাদামের পর পাট হারানোয় শিবচরের চরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক শংকিত
(১৮ জুন, ২০১০) :: গত এক মাসে ৩ দফা পানি বৃদ্ধিতে ধান,বাদামের পর পাট হারানোয় শিবচরের পদ্মাবেষ্টিত জনবিচ্ছিন্ন হাজার হাজার কৃষকের মাঝে হাহাকার নেমে এসেছে। গত ৪/৫ দিনে পদ্মা ও সংযুক্ত নদ-নদীতে তৃতীয় দফায় পানি বেড়ে শেষ ভরসা হাজার হাজার বিঘার পাট নষ্ট হওয়ায় হতভাগ্য কৃষক ও কৃষক বধুদের মাঝে চরম হতাশা নেমে এসেছে। চরের কৃষিখাত সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হওয়ায় শংকিত হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তারাও। সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে চরাঞ্চলে দ্রুত ভিত্তিতে খাদ্য সহযোগিতা, ঋণ মওকুফ ও আগামী মৌসুমে বীজ,সার ও ভর্তুকির দাবী করেছেন খোদ সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৪/৫ দিনে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এ পর্যন্ত শিবচরের ৮ হাজার বিঘার পাট, ২৫শ’ বিঘার বাদাম ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও গত মাসে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রথমে ঘূর্ণিঝড় লায়লার প্রভাবে পানি বেড়ে, পরে ঢলের পানি বেড়ে ৮ হাজার বিঘার বোরো ধান ৩১শ’ বিঘার বাদামসহ বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট হয়েছিল। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির প্রায় ৯০ ভাগই শুধুমাত্র জনবিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি, বন্দরখোলা ও মাদবরচর ইউনিয়নেই হয়েছে। এছাড়াও গত সপ্তাহে টর্নেডোতে চরাঞ্চলের প্রায় ৪শ’ ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছিল।
চরাজানাজাতের রশিদ সরকারেরকান্দি কৃষক আবু বকর বলেন, ‘গত ১ মাসে প্রথম দুই বারে ধান-বাদাম সব গেছে বাকি কয়ডা পাট আছিলো তাও এবারের পানিতে গেলো। সুদে টাহা আইনা ফসল করছিলাম। হেগো টাহাই দিমু কইর থিকা । নিজেরাই খামু কি?’
চরজানাজাত ইউপি চেয়ারম্যান বজলু সরকার বলেন, ‘পাটই ছিলো চরের কৃষকের শেষ ভরসা। তাও গেলো। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে। কিন্তু কৃষকদের ধান-পাট-বাদাম সব নষ্ট হলেও কোন সাহায্য পেল না। ঋণের ও মহাজনের সুদের টাকার জন্য চরের ঘরে ঘরে ঝগরা-কলহ বাড়ছে। অসহায় কৃষকরা খুব যন্ত্রণায় পড়ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘তৃতীয় দফা পানিতে ক্ষয়ক্ষতি ১৫ কোটি টাকার অধিকাংশই চরাঞ্চলের। শুধুমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল জনবিচ্ছিন্ন চরের মানুষের এত বড় ক্ষতি তাদের চলমান জীবনকেও চরমভাবে ব্যহত করবে। ঋণসহ বিভিন্ন সমস্যায় ওদের জীবনে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়। আর এ সংকট ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে চরাঞ্চলে বিশেষ ভিজিএফ চালু করা উচিৎ। সাথে বর্ষার পরে চরের মানুষের জন্য বীজ, সার বিতরণ ও ঋণ মওকুফ করা উচিৎ।’
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দূর্ঘটনায় নিহত ১
(১৬ জুন, ২০১০):: আজ (বুধবার) সকালে শিবচরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছে।
সূত্র জানায়, ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শিবচরে যাত্রীবাহী বাস মেঘনা পরিবহনের সাথে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা একটি এ্যম্বুলেন্সের সংর্ঘষে এম্বুলেন্সের হেলপার উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ভোরে এম্বুলেন্সটি ঢাকা যাওয়ার পথে মহাসড়কের পাঁচ্চর নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘনা পরিবহনের সাথে সংঘর্ষ হয়।
শিবচরে ১০ হাজার বিঘার পাট ও বাদাম ক্ষেত প্লাবিত : কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
(১৪ জুন, ২০১০):: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা আড়িয়াল খাঁ সংযুক্ত সকল খাল-বিলে পানি বেড়ে শিবচরে অন্তত ১০ হাজার বিঘার পাট ও বাদাম ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ২/৩ দিনে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে চরজানাজাত,কাঁঠালবাড়ি,বন্দরখোলাসহ উপজেলার প্রায় ৮ হাজার বিঘার পাটেক্ষেত ও ২ হাজার বিঘার বাদাম ক্ষেত প্লাবিত হয়। পানিতে পচন ধরার আশংকায় আগে ভাগেই পাট ও বাদাম তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক। এতে করে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা করছে কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, এ নিয়ে গত এক মাসে তৃতীয় দফা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা মুষড়ে পড়েছেন। এতে করে ৭ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বোনও ডাকল মাফও চাইল!
(১৩ জুন ২০১০) 'বিচার করতে হবে। বিচার চাই। ওরা আমাদের ভিডিও করল কেন? উত্ত্যক্ত করল কেন?'-এভাবে দু-একজন নয়, কয়েক শ' ছাত্রী প্রতিবাদ জানিয়ে বখাটেদের হাতজোড় করিয়ে মাফ চাইতে বাধ্য করেছে। আজ রবিবার সকালে ইভ টিজিংবিরোধী শোভাযাত্রা শেষে স্কুলে ফেরার পথেই ইভ টিজিংয়ের শিকার শিবচর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক শ' ছাত্রী প্রতিবাদ করে বখাটেদের কর্মকাণ্ডের। এ সময় ছাত্রীরা তিন বখাটে যে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল, সেটি ঘেরাও করে ফেলে। পরে মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড ফেরত দিয়ে ছাত্রীদের 'বোন' সম্বোধন ও হাতজোড় করে মাফ চেয়ে রেহাই পায় ওই তিন বখাটে।
শিবচর উপজেলা পরিষদ আয়োজিত ইভ টিজিংবিরোধী শোভাযাত্রা ও সমাবেশ শেষে বালিকা বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা থানা রোডে ঢুকতেই একটি কাঠের দোকানে অবস্থান নিয়ে লিয়াকত, আজিজুলসহ তিন বখাটে মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ভিডিও করে। বিষয়টি ছাত্রীরা আঁচ করতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ও দোকানটি ঘিরে ফেলে। বখাটেরা দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ছাত্রীদের সঙ্গে থাকা শিক্ষকরাও এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বখাটেদের মোবাইল ফোনগুলো পর্যবেক্ষণকালে শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ছাত্রীর ভিডিও দেখতে পান। ব্যবসায়ীরা এ সময় তিন বখাটেকে উত্তমমধ্যম দেন। পরে শিক্ষকদের হাতে মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড তুলে দিয়ে ছাত্রীদের 'বোন' সম্বোধন করে হাতজোড় করে মাফ চায় বখাটেরা। এরপর ছাত্রীরা মিছিল করে স্কুলে ফিরে যায়।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক বশিরউদ্দিন আহমেদ জানান, সমাবেশ শেষে স্কুলে ফেরার পথেই তিন বখাটে মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ভিডিও করার পাশাপাশি উত্ত্যক্ত করলে ছাত্রীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে দোকান ঘেরাও করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যবসায়ী পলাশ খান বলেন, 'ওই তিন যুবকের মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ভিডিও পাওয়া যায়। পরে ছাত্রীদের সামনেই শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা ওদের কড়া বিচার করেছেন। মনে থাকলে কেউ আর এ ধরনের অপরাধ করবে না।'
জবাই করে হত্যার চেষ্টা : বিশ্বকাপ খেলা দেখতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় শিকার হলো এক বৃদ্ধ
(১৩ জুন, ২০১০) :: শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরের সাবেক মেম্বর বৃদ্ধ আ. কাশেম মুন্সিকে (৭৫) রক্তাক্ত অবস্থায় আজ (রোববার) সকালে পুলিশ উদ্ধার করে। গত রাতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে। আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক, হাসপাতাল ও শিবচর থানা সূত্রে জানা যায়, কাশেম মুন্সি শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার জন্য বাহাদুরপুর মোড়ে যায়। খেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে। আজ সকালে একটি পাটক্ষেতের মধ্যে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সর্বশেষে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহতের ছেলে মাসুদ বলেন, জমি-জমা বিরোধের পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল জবাই এর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানায় এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।
শিবচরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন টেঁটাবিদ্ধ : শিশু ও মহিলাসহ আহত কমপক্ষে ২০ জন
(১১ জুন ২০১০) আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের বড়দোয়ালি গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ও একটি প্রাচীর নির্মাণের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে ১জন টেঁটাবিদ্ধ হন। এছাড়া এলোপাতারি মারপিটে উভয় পক্ষের বৃদ্ধ, মহিলা, পুরুষ ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০জন গুরুতর আহত হন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টার সময় পাঁচ্চর ইউনিয়নের বড় দোয়ালি গ্রামের শিকদার বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধ ও শুক্রবার সকালে বাড়ির উঠোনের উপর দিয়ে একটি প্রাচীর (ওয়াল) নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও একই বাড়ির চাচা-ভাতিজাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নেয়। মারামারি থামাতে গিয়ে প্রতিবেশী শালিসরাও আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র ছ্যান, রামদা, টেঁটা, জুতি ও কাতরা, নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে হামলা চালায়। প্রতিবন্ধী (হাতকাটা) মমিন শিকদার (৭০) এবং তার স্ত্রী মজিদন নেছা (৫০), ও তার ছেলে রশিদ শিকদার (৩৫), লুৎফর শিকদারকে (৩২) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালে মোবারক শিকদারের (৪০) ডান হাতের কব্জিতে টেঁটাবিদ্ধ হয়। এছাড়া বাচ্চু শিকদার (৩৪), মোঃ দবির শিকদার (৩৮), মোঃ সেলিম শিকদার (২৫) ও ভানু বিবি (৫০), হাবিব শিকদারের মা চন্দ্র বান বিবি (৫০), স্ত্রী ফেরদৌসি বেগম (৩৮) ছেলে ফয়সাল (১০) মোরছালিন (১২) ভাবী সাথী আক্তারকে (৩৫) প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষের আহত ১২ জনকে বর্তমানে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল বলেন, উভয় পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
পদ্মায় স্পীডবোট-ট্রলারের সংর্ঘষে নিহত-১ ॥ আহত-১৫
(১১ জুন ২০১০) শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি-মাওয়া ফেরি ঘাটের কাঁঠালবাড়ি চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় স্পীডবোট ও মাছের ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৫ জন অহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এদের শিবচর, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাওড়াকান্দি ঘাট, শিবচর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুল ইসলাম সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কাওরাকান্দি ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী স্পীডবোট কাঁঠালবাড়ি চেয়ারম্যান বাড়ির ঘাট এলাকায় এলে মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি মাছের ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাদবরেরচর ইউনিয়নের হাওলাদারকান্দি গ্রামের হাসেম ফকিরের ছেলে বাচ্চু ফকির (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাওড়াকান্দির পদ্মা নদী থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
(১০ জুন ২০১০) আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শিবচরের কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি।
সূত্র জানায়, বিকেলে কাওড়াকান্দি ৩নং ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এক তরুণীর লাশ ভেসে থাকতে দেখে লঞ্চ ও ট্রলার যাত্রী পুলিশে খবর দেয়। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শিবচর থানা পুলিশ এসে লাশটি (২০)উদ্ধার করে। দেখতে শ্যামবর্ণ মৃতদেহটির পরনে গোলাপী রঙের সেলোয়ার রয়েছে ও হাতে মেহেদি দেয়া।
উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকারী শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, মেয়েটির দেহে কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন নেই। ফেরি বা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে বা অন্য কোন কারণেও মেয়েটির মৃত্যু হতে পারে।
Read More ... »
সূত্র জানায়, বিকেলে কাওড়াকান্দি ৩নং ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এক তরুণীর লাশ ভেসে থাকতে দেখে লঞ্চ ও ট্রলার যাত্রী পুলিশে খবর দেয়। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ শিবচর থানা পুলিশ এসে লাশটি (২০)উদ্ধার করে। দেখতে শ্যামবর্ণ মৃতদেহটির পরনে গোলাপী রঙের সেলোয়ার রয়েছে ও হাতে মেহেদি দেয়া।
উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকারী শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, মেয়েটির দেহে কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন নেই। ফেরি বা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে বা অন্য কোন কারণেও মেয়েটির মৃত্যু হতে পারে।
পদ্মার চরাঞ্চলকে শীঘ্রই মূল ভূখন্ডের সাথে সংযুক্ত করা হবে।--নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন
(০৭ জুন ২০১০) শিবচরের পদ্মা নদীর জনবিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়নের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে শীঘ্রই চরাঞ্চলের সাথে মূল ভূখন্ডকে সংযুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই একটি সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যে সড়কটি বিচ্ছিন্ন চরজানাজাত-কাঁঠালবাড়ি-মাদবরচর-বন্দরখোলা হয়ে সরাসরি মূল ভূখন্ডে মিশবে। আজ সোমবার দুপুরে শিবচরের চরজানাজাতে টর্নেডোতে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যেয়ে সংসদ হুইপ ও নৌ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এসব কথা বলেন।
হুইপ আরো বলেন, শুধু যোগাযোগই নয় শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ সকল নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু হয়েছে। টর্নেডো ও এর আগে পানিতে প্লাবিত হয়ে ফসল ও ঘরবাড়ির যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ইতোমধ্যেই সাহায্য সহযোগিতা দেয়া শুরু হয়েছে। আরো দেয়া হবে।
ঝড়ে পিতা-পুত্রসহ ৩ নিহতদের পরিবারকে নগদ ১০ হাজার করে টাকা, ১০ কেজি চাল, সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত ৩৫টি পরিবারকে ১ বান করে টিন, ১ হাজার টাকা, ১০ কেজি চাল ও ক্ষতিগ্রস্থ সাড়ে ৩শ’ পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল প্রমুখ।
ঢাকার খিলগাওয়ের চাঞ্চল্যকর ফাতেমা বেগম পুড়িয়ে হত্যা মামলা ।। ঘাতক ওয়াদুদ মৃধাকে ৩ বছর পর শিবচর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
(০৬ জুন ২০১০) ঢাকার খিলগাওয়ের চাঞ্চল্যকর ফাতেমা বেগমকে পুড়িয়ে হত্যার অন্যতম হোতা ওয়াদুদ মৃধাকে (৩০) আজ রোববার শিবচর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি দল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল আজ রোববার বিকেলে উপজেলার উমেদপুরের চরকমলাপুর থেকে ওয়াদুদকে গ্রেফতার করে। ওয়াদুদ হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করেছে বলে র্যাব জানায়। তাকে শিবচর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওয়াদুদ শিবচরের উমেদপুরের শাহেদ মৃধার ছেলে।
উল্লেখ্য ২০০৭ সালের এপ্রিলে ঢাকার খিলগাওয়ে এক মধ্যরাতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় দু’সন্তানের জননী ফাতেমা বেগমকে। সে ঘটনার পর থেকেই ফাতেমার ঘাতক স্বামী লিটন মোড়ল ও তার মামা ঘাতক ওয়াদুদ পলাতক ছিল।
শিবচরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে সেমিনার
(০৬ জুন ২০১০) ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এ লক্ষ্য পূরণে প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আজ রোববার শিবচর উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি মাদারীপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল কবীর ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাজ শুরু করে উপজেলা, জেলা হয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এতে তিনটি তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালার মাধ্যমে ৫৬টি কৌশলে বাস্তবায়নের ধারাগুলো বর্ণনা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসনে তেমন কোনো প্রযুক্তিগত সুবিধা আসেনি। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রযুক্তি আমরা পেয়ে যাব। তবে এর আগে আমাদের যা আছে, তা দিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। সেমিনারে শিবচরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ এনামুল কবীর, উপজেলার চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অনেকে।
শিবচরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, মহিলাসহ আহত ১০
(৬ জুন ২০১০) শিবচর উপজেলায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শামসুদ্দিন মৌলভীকান্দি গ্রামের কালাম শরীফের সাথে সিরাজ মাদবরের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সকালে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় গ্রুপের ১০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলো- কালাম ফরিদ (৩৫), ছরোয়ার শরীফ (৪০), শাহীন (২৫), হাজেরা বেগম (৮০), ফাহিমা (২৭), গুলজান (২৫), হালিম (৭০), রফিক (১৭), রহিমা (২৮) এবং মাজেদা (৪৫)। আহতদের প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় সিরাজ মাদবরের লোকজন কালাম শরীফের ৪০টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়! শিবচরে পরিত্যাক্ত ৫ ভবনে ঝুকি নিয়ে বাস করছে ৪৩ পরিবার
(০৫ জুন ২০১০) ১২ বছর পুর্বে পরিত্যাক্ত ঘোষিত শিবচর পৌরসভার বাবুবাড়ি খ্যাত পরিত্যাক্ত ৫টি ভবনে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে বাস করছে ৪৩ পরিবার। যে কোন সময় বড় ধরনের প্রাণহানীর আশঙ্কা করা হলেও প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
জানা যায়, বাবুবাড়ি খ্যাত ৩টি ভবন ও রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজ শিক্ষকদের আবাসিক ভবন ২টি ১২ বছর পূর্বে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয় । বাবুবাড়ির ৩ টি ভবনে ৩৫ এবং কলেজ ভবনে ৮জন শিক্ষক পরিবারের বসবাস । জরাজীর্ণ ভবনগুলোর একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে, খসে গেছে দেয়ালের প্লাস্টার। প্রায় ১২ বছর আগে ভবন পাঁচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর ২০০৩ সালে কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর জন্য দায়ী নয় সংক্রান্ত মুচলেকা নিয়েই দায় সেরেছে।
ওই ভবনের বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী সাহা জানান, "মুক্তিযুদ্ধের পরে আমাগো বাড়ির জায়গা দখল হওয়ায় এই পুরনো ভবনে উঠেছিলাম । এটি ভেঙ্গে দিলে আমরা আর ফেরত পাবনা । সাত বছর আগে সরকারি লোক আইসা আমাগো কাছ থিকা লিখিত নিয়া গেছে। এই বিল্ডিং ভাইঙা পইড়া মানুষ মারা গেলে সরকার দায়ী নয়, শর্তেই সরকার আমাগো থাকত দেয়"।
ব্যবসায়ী সুধীর সাহা বলেন, "৮২ সালে সরকার আমাগো কাছ থিকা ডিসিআরে (খাজনা) টাকা ও তারপর আরো ছয় বছর খাজনার টাকা নিছিলো। এরপর আর আসে নাই। তবে এই জমি গুলো আমাগো নামেই নথিভুক্ত করেছে। ভাংগাচুরা ভবনে থাকতে ভয় লাগে কিন্তু যামু কই? এই জায়গা একবার ছাড়লে আর উঠতে পারমু না। তাই মৃত্যুর ঝুকি নিয়েই থাকি"।
রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুল্লাহ মিয়া বলেন, ওই ভবনগুলোতে বসবাস করা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের ২টি আবাসিক ভবন অপসারণের জন্য আবেদন পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অধ্যক্ষ স্বীকার করেন, ভবনগুলো ভেঙ্গে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের প্রাণহানীর আশংকা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাশ জানান, ভবনগুলোর ব্যাপারে প্রকৌশলীর মাধ্যমে আবারও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবনগুলো অপসারণ করলে ওই জায়গায় বর্তমান বসবাসকারীদের টিনসেড ঘর নির্মাণ করে বসবাসের সুযোগ দেয়া হবে। অন্য কেউ এখানে থাকার সুযোগ পাবেনা।
কালবৈশাখী ঝড় : নিহত-১, আহত ১০, দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত
(৩ জুন ২০১০) আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৪ টায় হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড়ে শিবচর উপজেলার পদ্মা বেষ্টিত জনবিচ্ছিন্ন চরজানাজাত ইউনিয়নে ১ জন নিহত, ১০ জন আহত ও ৫টি গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ে গাছপালা ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
চরজানাজাত ইউপি চেয়ারম্যান বজলু সরকার জানান, বৃহস্পতিবার দুপৃরের পর থেকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড কালবৈশাখী। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবিতে শাকিল মিনা (৯) নামের এক শিশু মারা যায়। এছাড়াও চরজানাজাতের রশীদ মোল্লাকান্দি, মোজাফফর মোল্লার কান্দি, আদেল মোল্লার কান্দি, চানু বেপারির কান্দি, রহমান হাওলাদার কান্দি গ্রামের দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছ উপড়ে ও ঘর বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছামাদ আকন (৫৫), হাসমত হাওলাদার (২৬) ও ইদ্রিস হাওলাদারকে (২০) গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত শাকিল চরজানাজাতের রশিদ মোল্লাকান্দির ছালাম মিনার ছেলে।
Subscribe to:
Comments (Atom)












