(৩ জুলাই, ২০১০) :: 'ম্যালা দিন ধইরা অসুখে পড়ছি। ভালা ডাক্তার দেহানোর লাইগা নাতি সবুজের লগে ঢাকা রওনা হইছি। বাস না পাইয়া ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা রওনা হই। রাইতে ঘাটে আইছি। আইজকো আর লঞ্চ যাইবো না। আকাশে ম্যালা মেঘ। নাতি লইয়া সারা রাইত রাস্তার পারই বইসা থাকতে হইবো। বৃষ্টি নামলে কই গিয়া দাঁড়ামু জানি না।' কথাগুলো বললেন পটুয়াখালী থেকে আসা অশীতিপর হালিম মিয়া।
এমন ঘটনা নতুন নয়। ধর্মঘট, পানি বৃদ্ধি, ঝড়-বৃষ্টি, কুয়াশাসহ সব ধরনের দুর্যোগে শিবচরের কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুটের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটে যাত্রী ছাউনি না থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার শত শত যানবাহনের শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ হাজার হাজার যাত্রীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কুয়াকাটার রোজি, ঝালকাঠির রহিমা, বাগেরহাটের আবুল কালাম, মোরেলগঞ্জের রাজিয়া আক্তারসহ আরো অনেক যাত্রী জানান, ঘাটে কোনো যাত্রী ছাউনি না থাকায় একটানা আট ঘণ্টা বাসের মধ্যে বসে ছিলেন। রাতে ঘাট এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। আশ্রয় নেওয়ার জায়গা পাওয়া যায় না। টয়লেটেরও ব্যবস্থা নেই। নিরুপায় হয়ে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে টয়লেটের কাজ সেরেছেন তাঁরা।
দোকানদার কালাম মিয়া বলেন, 'রাত হলে তো আমরা দোকান বন্ধ করে রাখি। ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য যাত্রীদের এই দুর্ভোগ।' লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, কাওরাকান্দি ঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার জনগণ যাতায়াত করে। ঘাটে কোনো ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল পাশা বলেন, কাওড়াকান্দি ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর একটি যাত্রী ছাউনি আছে। সেটা এখন পুলিশের দখলে। ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের তো একটু কষ্ট হচ্ছেই।
Read More ... »