বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মাগুরখন্ড গ্রামে মজিবর হাওলাদারের বাড়িতে এক ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতেরা গৃহকর্তা মজিবর হাওলাদার (৪৫) ও ছেলে আলম (১৮) কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছ। জানা যায়, ১০/১২ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল মজিবর হাওলাদরের ঘরের কপাট ভেঙ্গে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে নগদ ২৭ হাজার টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়।
শোক সংবাদ :: পপুলার ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেনের ইন্তেকাল
পপুলার ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী জনাব মো. আনোয়ার হোসেন গতকাল (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রেরক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি অসুস্থতাবোধ করলে প্রথমে তাকে ক্লিনিকে আনা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শিবচর পৌরএলাকার সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। শিবচর হাতিরবাগান মাঠে সকাল ১১টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং পৌরসভার গুয়াতলায় নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, জনাব আনোয়ার হোসেন শিবচর পৌরসভার হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।শিবচরে একটানা ১৮ ঘণ্টা প্রবল বৃষ্টিপাতে কাওড়াকান্দি ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ : দুইপাড়ে আটকে আছে ৫ শতাধিক গাড়ি
টানা ১৮ ঘণ্টা প্রবল বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাওড়াকান্দি ও মাওয়া রুটে মঙ্গলবার সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলেও পরাপারে সময় লাগছে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। এতে কাওড়াকান্দি ও মাওয়া রুটে দুই পাড়ে ৫ শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে আছে। গত ১৮ ঘণ্টা প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নদীর স্রোত তীব্র আকার ধারণ করলে ফেরি চলাচলে দ্বিগুণ সময়ের চেয়েও বেশি লাগছে। এদিকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের দরুণ কাওড়াকান্দি ২নং ফেরিঘাটের পল্টুন মাটি চাপা পড়ে গতকাল রাত থেকে বন্ধ রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার ফলে সকল লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ থাকায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
শিবচরে নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার
গতকাল (২৭ জুলাই) শিবচর উপজলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের গুপ্তেরকান্দা গ্রামে নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর শেখ মিজানুর রহমান (১৬) এর মৃতদেহ আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। জানা যায়, গত ২২ জুলাই সন্ধ্যায় আইয়ুব শেখের ছেলে মিজানকে একই গ্রামের কুদ্দুস মাদবরের ছেলে জাকির মাদবর (২৮) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মিজান বাড়ি ফিরে না আসলে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। গত সোমবার রাত ১০টায় মিজানের মৃতদেহ আড়িয়াল খাঁ নদে ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মিজানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তার হাত-পা রশি দিয়ে বাধা। এ ব্যাপরে শিবচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মিজানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তার হাত-পা রশি দিয়ে বাধা। এ ব্যাপরে শিবচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফরায়েজী আন্দোলন এবং ডানলপ সাহেবের নীলকুঠি
জহিরুল ইসলাম খান: 
সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত 'ডানলপ সাহেবের নীলকুঠি' নামে। গরীব চাষীদের উপর ব্রিটিশ নীলকরদের অত্যাচার ও ঐতিহাসিক 'ফরায়েজী আন্দোলন'-এর নীরব সাক্ষী হিসেবে এখনও এটি দাঁড়িয়ে আছে। মাদারিপুর জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে এই নীলকুঠিটির অবস্থান।
জনশ্রুতি আছে, বহুকাল আগে থেকেই গ্রামটি বিভিন্ন পীর-আউলিয়ার পদস্পর্শে ধন্য বলে এর নাম হয় আউলিয়াপুর। এই গ্রামেই রয়েছে খ্যাতিমান আউলিয়া হযরত শাহ সুফী খাজা ইউসুফ শাহ আহসানের দরগা শরীফ। অযত্নে অবহেলায় দরগাটি আজ জরাজীর্ণ। দরগাটির অবস্থান নীলকুঠির পাশেই। ৫০ বছর আগেও এই এলাকাটি ছিল ঘনজঙ্গলে আবৃত। এখানে বাস করত বাঘসহ নানা ধরনের হিস্র প্রাণী। এখন অবশ্য এখানে আর জঙ্গল নেই।
প্রায় দু’শ বছর আগের কথা। ডানলপ সাহেব নামের একজন ইংরেজ নীলকর নীলের ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার বাসনা নিয়ে তিনি এসেছিলেন এই এলাকায়। ১২ একর জমির ওপর তিনি স্থাপন করেন নীলকুঠি। এই নীলকুঠি আজ প্রায় নিশ্চিহ্ন। কুঠির জমিও বিভিন্নভাবে বেহাত হয়ে গেছে। কুঠির ধ্বংসাবশেষ এবং ইটের তৈরি ভবনের ভিত্তি পড়ে রয়েছে। আর স্মৃতি হিসাবে প্রায় অত রয়ে গেছে শুধু চুল্লিটি।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, বৃহত্তর ফরিদপুরের অংশ হিসেবে মাদারিপুরে নীলচাষ শুরু হয় পলাশী যুদ্ধের কিছুকাল পর থেকেই। এলাকার তৎকালীন কৃষকদের ধান, পাট, গম, সরিষাসহ অন্যান্য ফলস বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নীল চাষে বাধ্য করা হত। যে জমিতে একবার নীল চাষ করা হতো সেখানে অন্য কোন ফসল চাষ করা সম্ভব হত না। অত্যন্ত দরিদ্র কৃষকদের বিপদের সময় স্থানীয় দালালের মাধ্যমে সুদে ও দাদনের টাকা দিয়ে নীলচাষে প্রভাবিত করা হত। মাদারিপুর ছিল নীলচাষের জন্য খুবই উপযোগী। তখন ইংরেজই এদিকে ভিড় জমিয়েছিল নীলচাষ করতে।
এই ডানলপ সাহেবের নীলকুঠির সাথে জড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক ‘ফরায়েজী আন্দোলন’। উপমহাদেশের ব্রিটিশদের অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে তখন নীল কুঠিয়াল ও তাদের দোসর জমিদার-মহাজনদের অত্যাচারে এ অঞ্চলের কৃষকরাও জর্জরিত হয়ে পড়ে। এ সময় মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের হাজী শরীয়তউল্লাহ ও তার পুত্র পীর মহসীনউদ্দিন দুদুমিয়া কুঠিয়ালদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শরীয়তউল্লাহ ও দুদুমিয়া এলাকার কৃষকদের নিয়ে গড়ে তোলেন বিশাল এক লাঠিয়াল বাহিনী। এই প্রতিবাদ এক সময় গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
শরীয়তউল্লাহ মারা যাওয়ার পর তার ছেলে দুদুমিয়ার নেতৃত্বে ১৭৩৮ সালে বৃটিশদের সাথে নীলকুঠি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরাজিত নীল কুঠিয়াল ডানলপ তার দলবল নিয়ে নীলকুঠি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আউলিয়াপুরের যে স্থানে এই য্দ্ধু হয় সেই স্থান এখনও ‘রণখোলা’ নামে পরিচিত।
বিলুপ্তপ্রায় ডানলপ নীলকুঠির পূর্ব পাশে রণখোলা, পশ্চিমে আউলিয়াপুর বাজার, উত্তরে কালীতলা ও দেক্ষিণ আউলিয়াপুর দরগা শরীফ। ১২ কক্ষ বিশিষ্ট এ কুঠির মাঝামাঝি অংশে রয়েছে চুল্লি, পাশেই রয়েছে প্রায় ৪০ ফুট উঁচু চিমনি।
দিন দিন অযত্ন আর অবহেলায় এই ঐতিহাসিক নির্দশনটি বিলুপ্ত হতে বসেছে। এলাকাবাসী চায় তাদের পূর্ব-পূরুষদের উপর অত্যাচার ও ফরায়েজী আন্দোলনের ইতিহাসের শেষ স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে এই নীলকুঠি সরকার সংরণ করুক। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে নীলকুঠি সংরক্ষণ করার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ দেখেনি বলে জানালেন এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সদস্য মাদারিপুরের অন্যতম ইতিহাসবিদ ডা. আব্দুল বারির সাথে কথা হলে তিনি এই নীলকুঠিকে সংরক্ষণের দাবী জানান। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই নীলকুঠি হারিয়ে গেলে মাদারিপুর অঞ্চলে ব্রিটিশদের অত্যাচার ও ফরায়েজী আন্দোলনের কোন স্মৃতিচিহ্নই অবশিষ্ট থাকবে না। নীলকুঠি সংরক্ষণে সরকার এগিয়ে আসবে এই প্রত্যাশা মাদারিপুরবাসীর।
বর্তমানে নীলকুঠির অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। এই জমি উদ্ধার না করা পর্যন্ত নীলকুঠি সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। নীলকুঠি রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরী। শুধু দর্শনার্থীদের জন্যই নয় এই নীলকুঠির ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম।

সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত 'ডানলপ সাহেবের নীলকুঠি' নামে। গরীব চাষীদের উপর ব্রিটিশ নীলকরদের অত্যাচার ও ঐতিহাসিক 'ফরায়েজী আন্দোলন'-এর নীরব সাক্ষী হিসেবে এখনও এটি দাঁড়িয়ে আছে। মাদারিপুর জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে এই নীলকুঠিটির অবস্থান।
জনশ্রুতি আছে, বহুকাল আগে থেকেই গ্রামটি বিভিন্ন পীর-আউলিয়ার পদস্পর্শে ধন্য বলে এর নাম হয় আউলিয়াপুর। এই গ্রামেই রয়েছে খ্যাতিমান আউলিয়া হযরত শাহ সুফী খাজা ইউসুফ শাহ আহসানের দরগা শরীফ। অযত্নে অবহেলায় দরগাটি আজ জরাজীর্ণ। দরগাটির অবস্থান নীলকুঠির পাশেই। ৫০ বছর আগেও এই এলাকাটি ছিল ঘনজঙ্গলে আবৃত। এখানে বাস করত বাঘসহ নানা ধরনের হিস্র প্রাণী। এখন অবশ্য এখানে আর জঙ্গল নেই।
প্রায় দু’শ বছর আগের কথা। ডানলপ সাহেব নামের একজন ইংরেজ নীলকর নীলের ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার বাসনা নিয়ে তিনি এসেছিলেন এই এলাকায়। ১২ একর জমির ওপর তিনি স্থাপন করেন নীলকুঠি। এই নীলকুঠি আজ প্রায় নিশ্চিহ্ন। কুঠির জমিও বিভিন্নভাবে বেহাত হয়ে গেছে। কুঠির ধ্বংসাবশেষ এবং ইটের তৈরি ভবনের ভিত্তি পড়ে রয়েছে। আর স্মৃতি হিসাবে প্রায় অত রয়ে গেছে শুধু চুল্লিটি।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, বৃহত্তর ফরিদপুরের অংশ হিসেবে মাদারিপুরে নীলচাষ শুরু হয় পলাশী যুদ্ধের কিছুকাল পর থেকেই। এলাকার তৎকালীন কৃষকদের ধান, পাট, গম, সরিষাসহ অন্যান্য ফলস বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নীল চাষে বাধ্য করা হত। যে জমিতে একবার নীল চাষ করা হতো সেখানে অন্য কোন ফসল চাষ করা সম্ভব হত না। অত্যন্ত দরিদ্র কৃষকদের বিপদের সময় স্থানীয় দালালের মাধ্যমে সুদে ও দাদনের টাকা দিয়ে নীলচাষে প্রভাবিত করা হত। মাদারিপুর ছিল নীলচাষের জন্য খুবই উপযোগী। তখন ইংরেজই এদিকে ভিড় জমিয়েছিল নীলচাষ করতে।
এই ডানলপ সাহেবের নীলকুঠির সাথে জড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক ‘ফরায়েজী আন্দোলন’। উপমহাদেশের ব্রিটিশদের অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে তখন নীল কুঠিয়াল ও তাদের দোসর জমিদার-মহাজনদের অত্যাচারে এ অঞ্চলের কৃষকরাও জর্জরিত হয়ে পড়ে। এ সময় মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের হাজী শরীয়তউল্লাহ ও তার পুত্র পীর মহসীনউদ্দিন দুদুমিয়া কুঠিয়ালদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। শরীয়তউল্লাহ ও দুদুমিয়া এলাকার কৃষকদের নিয়ে গড়ে তোলেন বিশাল এক লাঠিয়াল বাহিনী। এই প্রতিবাদ এক সময় গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
শরীয়তউল্লাহ মারা যাওয়ার পর তার ছেলে দুদুমিয়ার নেতৃত্বে ১৭৩৮ সালে বৃটিশদের সাথে নীলকুঠি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরাজিত নীল কুঠিয়াল ডানলপ তার দলবল নিয়ে নীলকুঠি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আউলিয়াপুরের যে স্থানে এই য্দ্ধু হয় সেই স্থান এখনও ‘রণখোলা’ নামে পরিচিত।
বিলুপ্তপ্রায় ডানলপ নীলকুঠির পূর্ব পাশে রণখোলা, পশ্চিমে আউলিয়াপুর বাজার, উত্তরে কালীতলা ও দেক্ষিণ আউলিয়াপুর দরগা শরীফ। ১২ কক্ষ বিশিষ্ট এ কুঠির মাঝামাঝি অংশে রয়েছে চুল্লি, পাশেই রয়েছে প্রায় ৪০ ফুট উঁচু চিমনি।
দিন দিন অযত্ন আর অবহেলায় এই ঐতিহাসিক নির্দশনটি বিলুপ্ত হতে বসেছে। এলাকাবাসী চায় তাদের পূর্ব-পূরুষদের উপর অত্যাচার ও ফরায়েজী আন্দোলনের ইতিহাসের শেষ স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে এই নীলকুঠি সরকার সংরণ করুক। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে নীলকুঠি সংরক্ষণ করার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নের কোন লক্ষণ দেখেনি বলে জানালেন এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সদস্য মাদারিপুরের অন্যতম ইতিহাসবিদ ডা. আব্দুল বারির সাথে কথা হলে তিনি এই নীলকুঠিকে সংরক্ষণের দাবী জানান। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই নীলকুঠি হারিয়ে গেলে মাদারিপুর অঞ্চলে ব্রিটিশদের অত্যাচার ও ফরায়েজী আন্দোলনের কোন স্মৃতিচিহ্নই অবশিষ্ট থাকবে না। নীলকুঠি সংরক্ষণে সরকার এগিয়ে আসবে এই প্রত্যাশা মাদারিপুরবাসীর।
বর্তমানে নীলকুঠির অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। এই জমি উদ্ধার না করা পর্যন্ত নীলকুঠি সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। নীলকুঠি রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরী। শুধু দর্শনার্থীদের জন্যই নয় এই নীলকুঠির ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম।
শিবচরে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৫০
আজ (২৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বন্দরখোলা চৌরাস্তা এলাকায় ২টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ আহত প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী। ঢাকা থেকে পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দেশ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-০৮৭৪ ও মাদারীপুর থেকে কাওড়াকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে আসা চন্দ্রা পরিবহনের একটি বাস ঢাকা মেট্রো-জ-৪৫৩১ মুখোমুখি সংঘর্ষে চান মিয়া (৩৬) নামে এক ভ্যানচালক ঘটনাস্থলে মারা যায়। নিহত চান মিয়া শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর গ্রামের নুরুদ্দিন শেখের ছেলে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন সিরিয়া (৩৮, কুলসুম (৩৫), মজিবর (৩৪), কহিনুর (২৮), তোবারক (৩৯), জুলহাস (৩৫), নাসির উদ্দিন (২৩), আবেদা (৩৫), কামাল (৩৮), মতিয়ার (৫৫), বাবুল (১৮), শেখ আমিনুল ইসলাম (৩৯), হোসেন আহম্মেদ (৩৫), মোবারক (২২), বারেক (৩৫), সেলিনা (২৮), রিপা (১৮), হেপি (২৭), রুমানা (২০), মমিনুর রহমান (৩৫), সিরাজুল (২৮), শেখ বছির উদ্দিন (৩৮), শিপন (৩২), ইউনুছ (১৮), সাকিল (২৩), বারেক (২৭), জীবন দাস (৩৪), অজুফা (৪৯), সবুর উদ্দিন (৪৪), অর্জুন মালো (৩৮), শেফালী রানী দাস (৩৬), শিখা (১৩), রহিমদ্দিন (৫০)-কে শিবচর, ভাঙ্গা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। গাড়ি চালক পলাতক। পুলিশ বাস দুটি আটক করেছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন সিরিয়া (৩৮, কুলসুম (৩৫), মজিবর (৩৪), কহিনুর (২৮), তোবারক (৩৯), জুলহাস (৩৫), নাসির উদ্দিন (২৩), আবেদা (৩৫), কামাল (৩৮), মতিয়ার (৫৫), বাবুল (১৮), শেখ আমিনুল ইসলাম (৩৯), হোসেন আহম্মেদ (৩৫), মোবারক (২২), বারেক (৩৫), সেলিনা (২৮), রিপা (১৮), হেপি (২৭), রুমানা (২০), মমিনুর রহমান (৩৫), সিরাজুল (২৮), শেখ বছির উদ্দিন (৩৮), শিপন (৩২), ইউনুছ (১৮), সাকিল (২৩), বারেক (২৭), জীবন দাস (৩৪), অজুফা (৪৯), সবুর উদ্দিন (৪৪), অর্জুন মালো (৩৮), শেফালী রানী দাস (৩৬), শিখা (১৩), রহিমদ্দিন (৫০)-কে শিবচর, ভাঙ্গা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। গাড়ি চালক পলাতক। পুলিশ বাস দুটি আটক করেছে।
শিবচরে ডাকাতি হওয়া ২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার ।। জুয়েলার্স মালিক আটক
আজ (২৭ জুলাই) দুপুরে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর বাজারের কৃষ্ণ জুয়েলার্স থেকে ডাকাতি হওয়া ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ দোকান মালিক পরি কর্মকারকে আটক করেছ পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ডাকাত আব্বাসের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে শিবচর থানার পুলিশ কৃষ্ণ জুয়েলার্সের বিভিন্ন স্থানে তল্লাসী চালিয়ে ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার ও জুয়েলার্স মালিক পরি কর্মকারকে আটক করে। উল্লেখ্য গত ১১ জুলাই পাঁচ্চর ঠাকুরবাজার এলাকার দিলীপ কর্মকারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি শেষে পুলিশ ৫ ডাকাতকে আটক করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতেরা পরি কর্মকারের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করছে বলে পুলিশকে জানায়। পরে শিবচর থানার পুলিশ পাঁচ্চর কৃষ্ণ জুয়েলার্স থেকে ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে।
শিবচরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত দশ
শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা মফিজুল্লাহ হাওলাদার কান্দি গ্রামে গতকাল (২৬ জুলাই) রবিবার সন্ধ্যায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত হয়েছে দশ। বন্দরখোলা মল্লিককান্দি গ্রামের তোতা বেপারী সাথে মফিজুল্লাহ হাওলাদার কান্দি গ্রামের নাজিম উদ্দিন বেপারীর জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তোতা বেপারী ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে নাজিম উদ্দিন বেপারী (৫০), গিয়াস বেপারী (৩৫), মালু বেপারী (৪৫), রহিমন (৩৮), আফছারুল (২২)কে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। উক্ত ঘটনার জের ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েলে নাজিম বেপারীর লোকজন তোতা বেপারী (৬০), ইলিয়াছ (৩০), সালেহা (৪৮), তৈয়ব (২৩), মরিয়ম (৩৮)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের শিবচর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের মেয়াদোত্তীর্ণ ১০ ফেরিতে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার
মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের সার্ভে ও ফিটনেসবিহীন মেয়াদোত্তীর্ণ ফেরিতে অত্যন্ত ঝূকিপূর্ণভাবে প্রতিদিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা বিআইডবিউটিসি নদীপথে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও চলতি ঝড়ের মৌসুমে যান ও মাল চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। ফলে নৌপথে নিরাপদে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি মন্ত্রীসহ ভিভিআইপিদের বহনকারী ফেরিটিরও ৫ বছর ধরে সার্ভে হয়নি। ফলে চলমান বর্ষা মৌসুমে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ভিভিআইপিসহ হাজার হাজার যাত্রী ও যানমাল চরম ঝুঁকির মধ্যে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। সূত্র জানায়, এ রুটে চলাচলকারী ১০টি ফেরির সব কটি ফেরিই ৫০-৬০ বছরের পুরোনো। ফেরিগুলো সচলের চেয়ে বিকলই থাকে বেশি সময় ধরে। ১৮ কিলোমিটার দূরত্বের দীর্ঘ ডুবোচরে ভরা এ নৌরুটে দীর্ঘদিন চলতে চলতে ফেরির পেট পাতলা হয়ে জং ধরে ও মরিচা পড়ে পেটের জোড়াগুলো আলগা হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও এ রুটের নাওডুবা-মাগুরখণ্ড-মাওয়া চ্যানেলটি অত্যন্ত সরু হওয়ায় সামান্য বাতাসেই ডুবোচরে সংঘর্ষ হওয়ায় ফেরিগুলোর প্রপেলারে প্রতিনিয়তই চিড় ধরে সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সূত্রের অভিযোগ, প্রতি বছর সার্ভে করার নিয়ম থাকলেও কোনো ফেরিরই গত ৪/৫ বছরের বেশি সময় ধরে সার্ভে না করায় ঝুঁকি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি অর্ধশত বছরের পুরোনো ডাম্ব ফেরি রায়পুরা তলা ও পাশে ছিদ্র হয়ে ২২টি যানবাহন ও তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মার বুকে ডুবতে বসেছিল। পরে ৬টি পাম্প মেশিন বসিয়ে ও শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে মধ্যরাতে ফেরিটিকে উদ্ধার করা হয়। রায়পুরার মতোই এ রুটে পাতলা পেট, জং ধরা ও মরিচা পড়া দীর্ঘদিনের আরো ১০টি ফেরি চলছে। ভিভিআইপিদের পারাপারে ব্যবহৃত কেট আই ধরনের সিঙ্গেল ফেরি কর্ণফুলীর অবস্থাও একই রকম। থোবাল ও রানীক্ষেতসহ সব ফেরিই প্রতিনিয়ত পানি ডাম্পিং করে বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছে। এ রুটে চলাচলকারী অর্ধ শতাধিক ফিটনেসবিহীন লঞ্চও প্রতিদিন চরম ঝুঁকির মধ্য দিয়ে উত্তাল পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে। বিআইডবিউটিসির একাধিক সূত্র জানায়, এ রুটে চলাচলকারী ফেরি ১৯৭৮ সালে নির্মিত ৮-৩৯০ আইটি (টাগটি) ২০০৫ সালের এপ্রিলে, ১৯৭৮ সালে নির্মিত ৮-৩৯১ আইটি (টাগটি) ২০০৬ সালের মার্চে, ১৯৭৫ সালে নির্মিত ৮-৩৯৪ আইটি (টাগ) ২০০৮ সালে ফেব্রুয়ারিতে, ১৯৭৫ সালে নির্মিত ৮-৩৯৫ আইটি ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ১৯৭৬ সালে নির্মিত ৮-৩৯৭ আইটিটি ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ১৯৬১ সালে নির্মিত আইটি বেলজিয়াম ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ১৯৬৫ সালে নির্মিত আইটি ইরান ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং মিডিয়াম টাইপ ফেরির মধ্যে ১৯৬৩ সালে নির্মিত ফেরি যশোর ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে সার্ভে করা হয় না। এছাড়াও ফ্লাট ফেরিগুলোর মধ্যে ১৯৩৮ সালে নির্মিত থোবাল ও যমুনা, ১৯২৫ সালে নির্মিত রানীক্ষেত, রায়পুরা, রানীগঞ্জ ও টাপলো, ১৯৭৩ সালে নির্মিত ফেরি কেটাইপ কুমারী, কামিনী ও ১৯৬৩ সালে নির্মিত ভিভিআইপি ফেরি কর্ণফুলীসহ উল্লিখিত ফেরিগুলো গত ৫ বছর ধরে সার্ভে করা হয়নি। ফলে সব ফেরিগুলোই সার্ভে সার্টিফিকেট ছাড়া ঘন ঘন ডকিং (মেরামত) করে চলছে। ফেরি রায়পুরাসহ কয়েকটি ফেরি তলায় সিমেন্ট দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে ডকিং করে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ১৮ কিলোমিটার দূরত্বের এ নদীপথ চলাচল করছে। অথচ প্রতি বছরের সার্ভে সার্টিফিকেট ছাড়া নৌযান চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও গত অন্তত ৫ বছর ধরে কোনো ফেরিরই সার্ভে পর্যন্ত করা হয়নি। সূত্র জানায়, চাঁদপুর ও ভোলা নৌরুটে চলাচলরত ঢাকা, কুমিল্লা ও কস্তুরি ফেরি ৩টিও একইভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে।বিআইডবিউটিসির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক মেরিটাইপ সংস্থা আইএমওর কোড অনুযায়ী বাংলাদেশে চলাচলরত ফেরিগুলো ৩০ বছর চলতে পারে। তবে ফেরিস্বল্পতার কারণে মেকানিক্যাল মডিফিকেশনের মাধ্যমে ফেরিগুলো সচল রাখা হয়েছে। তবে সূত্র জানায়, বছর বছর সার্ভে ছাড়া এসব ফেরি চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভে বিভাগে চলাচলরত এক লাখ নৌযানের জন্য রয়েছেন মাত্র ২ জন কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে আইটি ৩৯০ এর মাস্টার ইনচার্জ শফিকুর রহমান বলেন, পুরোনো ফেরিগুলো দীর্ঘ এ রুটে চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ফেরিচালক বলেন, ‘ফেরি চালানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখেও কোনো প্রতিকার পাই না।’ অনেক ফেরিচালক নৌযানগুলো সার্ভে না করার ফলে নিজেদের সার্টিফিকেট জব্দ হওয়ার শঙ্কায়ও রয়েছেন। মাওয়া জোনের এজিএম আশিকুর রহমান বলেন, পুরোনো এ ফেরিগুলো জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। ফোনালাপে বাংলাদেশ সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর (অব.) বজলুর রহমান বলেন, ‘সার্ভে বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি মাওয়া রুটে কিছু নৌযানকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। শিগগিরই আমি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে গিয়ে সমস্যাগুলো দেখবো।’
শিবচরে ১৩ তরুণ গড়ে তুলেছেন উৎরাইল ছাত্র মিতালী পাঠাগার
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার গ্রাম পর্যায়ে ১৩ তরুণের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে উৎরাইল ছাত্র মিতালী পাঠাগার নামে একটি গ্রন্থাগার। 'বই হোক জীবন গঠনের হাতিয়ার' স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৬ সালের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করে গ্রন্থাগারটি। কোনো রকম পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই এ ১৩ তরুণের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে গ্রন্থাগারটি।
গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠার মূলে যারা রয়েছে তারা সবাই ছাত্র। দেশের বিভিন্ন স্থানে লেখাপড়া করছেন। আর গ্রামে যারা থাকছেন তারা পালাক্রমে পাঠাগারটি দেখাশোনা করেন। যারা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তারা প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে থাকেন। ঘর ভাড়া, পত্রিকা বিল বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা খরচ হয়।
পাঠাগারটি সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন জানান, ছেলেদের উদ্যোগটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তারা নিয়মিত এখানে পত্রিকা পড়তে পারেন। এ তরুণরা শুধু পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠাই করেননি, স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এলাকার তরুণ-তরুণীরা এখন পাঠাগারমুখী হচ্ছেন।প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয় পাঠাগারটি। নবীন-প্রবীণ পাঠকদের পদচারণায় মুখর থাকে সারাদিন। এখানে একটি জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও স্থানীয় পত্রিকা রাখা হয় নিয়মিত। এখান থেকে বই বাড়িতে নিয়ে পড়ারও সুযোগ রয়েছে। বই দিয়ে পাঠাগারটিকে সহায়তা করার জন্য উদ্যোক্তারা দাতা গোষ্ঠী, সুধীজনদের দৃষ্টি কামনা করেন। কেউ সহায়তা করতে চাইলে ০১৭২১০৯১৯০৫ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। পিছনে
গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠার মূলে যারা রয়েছে তারা সবাই ছাত্র। দেশের বিভিন্ন স্থানে লেখাপড়া করছেন। আর গ্রামে যারা থাকছেন তারা পালাক্রমে পাঠাগারটি দেখাশোনা করেন। যারা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তারা প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে থাকেন। ঘর ভাড়া, পত্রিকা বিল বাবদ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা খরচ হয়।
পাঠাগারটি সম্পর্কে স্থানীয় লোকজন জানান, ছেলেদের উদ্যোগটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তারা নিয়মিত এখানে পত্রিকা পড়তে পারেন। এ তরুণরা শুধু পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠাই করেননি, স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এলাকার তরুণ-তরুণীরা এখন পাঠাগারমুখী হচ্ছেন।প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয় পাঠাগারটি। নবীন-প্রবীণ পাঠকদের পদচারণায় মুখর থাকে সারাদিন। এখানে একটি জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও স্থানীয় পত্রিকা রাখা হয় নিয়মিত। এখান থেকে বই বাড়িতে নিয়ে পড়ারও সুযোগ রয়েছে। বই দিয়ে পাঠাগারটিকে সহায়তা করার জন্য উদ্যোক্তারা দাতা গোষ্ঠী, সুধীজনদের দৃষ্টি কামনা করেন। কেউ সহায়তা করতে চাইলে ০১৭২১০৯১৯০৫ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। পিছনে
ড. এটিএম তোফাজ্জল হোসেন
১৯৫৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শিবচর উপজেলার মির্জারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানের অধ্যপক।
ড. এএফএম আশরাফ আলী
১৯৪৫ সালে শিবচর থানার মির্জারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক।
ড. খলিফা মো. আব্দুল মালিক
Read More ... »
১৯৪৬ সালে শিবচর থানা সেনেরবাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি লন্ডনে পিএইচডি লাভ করেন।
প্রবাসীর লেখা
[পড়ার জন্য লেখার নামে ক্লিক করুন]
০৪। বাংলা শব্দের ভোজ বিলাস :: অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবী (লন্ডন থেকে)
০৩। সাংঘাতিকী :: কবিতা :: অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবী (লন্ডন থেকে)
০২। ইউরোপে বাংলাদেশ :: অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবী (লন্ডন থেকে)
০১। বিশ্ব বিরহদিবস ৩০ জুন :: অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবী (লন্ডন থেকে)
ব্যক্তিত্ব
.
------------- উন্নয়নের কাজ চলছে-----------
Read More ... »
------------- উন্নয়নের কাজ চলছে-----------
- মন্ত্রী
- সাংসদ
- রাজনীতিবিদ
- সমাজকর্মী
- মুক্তিযোদ্ধা
- সাংবাদিক
- মিডিয়া ব্যক্তিত্ব
- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
- খেলোয়াড়
- অধ্যাপক
- শিক্ষক
- গবেষক
- লেখক
- ডাক্তার
- ইঞ্জিনিয়ার : স্থপতি
- ভূতত্ত্ববিদ
- বিচারক
- আইনজীবী
- ব্যাংকার
- স্থলবাহিনি, বিমানবাহিনি, নৌবাহিনি, বাংলাদেশ রাইফেলস,
- পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপি
- এনজিও কর্মকর্তা
- শিল্পপতি
- ব্যবসায়ী
- জমিদার
শিক্ষালয়
------------------ নির্মাণাধীন ----------------------
কলেজ
উচ্চ বিদ্যালয়
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মাদ্রাসা
প্রাথমিক বিদ্যালয়
Read More ... »
কলেজ
উচ্চ বিদ্যালয়
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মাদ্রাসা
প্রাথমিক বিদ্যালয়
ইউনিয়ন পরিচিতি
--------------- নির্মাণাধীন---------------
০১। বন্দরখোলা
০২। ভদ্রাসন
০৩। দ্বিতীয়খন্ড
০৪। উমেদপুর
০৫। বাঁশকান্দি
০৬। কাদিরপুর
০৭। কাঁঠালবাড়ি
০৮। বহেরাতলা
০৯। নিলখী
১০। সন্ন্যাসিরচর
১১। কুতুবপুর
১২। চর জানাজাত
১৩। দত্তপাড়া
১৪। পাঁচ্চর
১৫। শিরুয়াইল
১৬। মাদবরচর
১৭। ভান্ডারীকান্দি
১৮। শিবচর
Read More ... »
০১। বন্দরখোলা
০২। ভদ্রাসন
০৩। দ্বিতীয়খন্ড
০৪। উমেদপুর
০৫। বাঁশকান্দি
০৬। কাদিরপুর
০৭। কাঁঠালবাড়ি
০৮। বহেরাতলা
০৯। নিলখী
১০। সন্ন্যাসিরচর
১১। কুতুবপুর
১২। চর জানাজাত
১৩। দত্তপাড়া
১৪। পাঁচ্চর
১৫। শিরুয়াইল
১৬। মাদবরচর
১৭। ভান্ডারীকান্দি
১৮। শিবচর
Subscribe to:
Comments (Atom)
