দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে। প্রশাসনের সাথে সমঝোতার পর সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই ফেরি চলাচল শুরু হলেও উভয় পাড়ের যানজট এখনো কাটেনি। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে এ রুটের ৮১টি লঞ্চ চলাচলও শুরু হয়েছে। তবে এদিন স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। স্পিডবোট চালকদের ছবিসহ তালিকা, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নম্বরপ্লেট সরবরাহের পর কাল বুধবার সকাল থেকে স্পিডবোট চলাচল শুরু হবে।
এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও জাতীয় সংসদের হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন কাওড়াকান্দি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা আতাহার বেপারিকে দেখতে যান ।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আতাহার বেপারির উপর হামলার অভিযোগে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার মাওয়ায় মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় পরিবহন নেতা মনির চৌধুরীর উপস্থিতিতে সভায় স্পিডবোট চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। স্পিডবোটগুলোকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সিরিয়াল নম্বর দিতে হবে ও তা নৌযানে লাগাতে হবে, ড্রাইভারদের ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র ধারণ করতে হবে, বেলা শেষ হওয়ার আগে বোট চলাচল বন্ধ করতে হবে, নির্ধারিত ভাড়া ১২০ টাকার বেশি ভাড়া নেয়া যাবে না সহ স্পিডবোট চলাচলে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য মাওয়া-কাওড়াকান্দির স্পিডবোট শ্রমিকদের সংঘর্ষের পর সমঝোতা বৈঠকে যোগ দিতে গত সোমবার কাওড়াকান্দি স্পিডবোট ও লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আতাহার বেপারিসহ নেতৃবৃন্দ মাওয়ায় গেলে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আতাহার বেপারিসহ ৩ জন আহত হলে গতকাল সোমবার সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাওড়াকান্দি এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও নৌরুটটি অবরোধ করে রেখেছিল কাওড়াকান্দির শ্রমিকরা। পরে মাওয়ার স্পিডবোট চালক মনিরুজ্জামান কাজীকে গ্রেফতার ও প্রশাসনের সাথে সমঝোতার পর রাতে নৌ ও সড়ক অবরোধ তুলে নেয় কাওড়াকান্দির শ্রমিকরা।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment