রাত ১১টা ৩০ মিনিট। কয়েক দফা লোডশেডিংয়ের পর সারা পৌর এলাকাতেই বিদ্যুৎ এলো। কিন্তু শিবচর পৌর এলাকার ডিসি রোড, চরগুয়াতলা, পশু হাসপাতাল এলাকা ও হাতিরবাগান মাঠ সংলগ্ন এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন। বিদ্যুৎ নেই। এসএসসি পরীক্ষা চলছে তাই উদ্বিগ্ন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের টেলিফোনে ফোন করেও অপর প্রান্ত থেকে ফোনটি রিসিভ হলো না। অনেকেই পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোন করলো, আশ্বাসও মিললো। কিন্তু সুরাহা হলো না। অবশেষে ১০ ঘণ্টা পর আজ সকাল সাড়ে ৯ টায় মাত্র ৩ মিনিটেই পলাশী সিনেমা হলের পিছনের বৈদ্যুতিক খুঁটির 'ফিউজ' পুনঃসংযোগ করে এইসকল এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপিত করা হয়। আর এই দশ ঘণ্টা শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষকে থাকতে হলো বিদ্যুৎবিহীন। এই হলো শিবচর পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকসেবার হাল।
এসএসসি পরীক্ষার্থী চম্পা আক্তার বলেন, গত রাত সাড়ে ১১ টায় বিদ্যুৎ চলে গেলেও পরীক্ষা দেয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্তও আসেনি। অথচ আশে পাশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল। এ এলাকার শতাধিক পরীক্ষর্থী চরম দুর্ভোগ পোহালেও পল্লী বিদ্যুৎ চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
ডিসি রোডের বাসিন্দা মাহাতাব সরদারসহ অনেকে বলেন, রাতে অনেক বার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ফোন করেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি। ডিজিএম লাইনম্যান পাঠানোর কথা বলেও পাঠায়নি। অথচ আজ সকালে মাত্র ৩ মিনিটেই ফিউজটি মেরামত করলো। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বহীনতায় আমাদের ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হলো।
ফিউজটি সংস্কার করতে আসা লাইনম্যান মো. বাকের বলেন, ফিউজটি সংস্কার করতে মিনিট তিনেক সময় লেগেছে। রাতে লাইনের সমস্যা বের করা কষ্টসাধ্য এইজন্য সকালে মেরামত করা হলো।
এ ব্যাপারে শিবচর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মামুনুর রশীদ লোকবল সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, রাতে কেন ফোন রিসিভ করেনি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো। রাত ৯টা পর্যন্ত দুজন লাইনম্যান থাকে। এরপর থাকে একজন। তাই ফিউজটি মেরামত করা হয়নি।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment