শিবচর উপজেলায় ফেরিওয়ালা বেশে চরমপন্থি বিস্তার লাভ করেছে বলে জানা যায়।
আজ বুধবার ভোররাতে ২ নারী সহযোগীসহ জনযুদ্ধ এমএল বাহিনীর ৬ সক্রিয় চরমপন্থিকে গ্রেফতার করেছে শিবচর থানা পুলিশ। অভিযোগে প্রকাশ, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের দলীয় ক্যাডাররা পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনামে শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফেরিওয়ালা ও ভ্যানচালক সেজে বিচরণ করছে।
পুলিশ জানায়, কুষ্টিয়া থেকে আসা কালু মণ্ডল ও মনির হোসেন শিবচর থানায় গিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর থেকে পালিয়ে আসা হিসাব আলী ও সাহাবুল শিবচরে আত্মগোপন করেছে বলে পুলিশকে জানায়। তাদের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোর রাতে এসআই আবদুল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কুতুবপুর হুজ্জুত আলী বেপারি কান্দি এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ার চরমপন্থি সংগঠন (জনযুদ্ধ) ক্যাডার হিসাব আলী (৩০) ও তার স্ত্রী সুমাইয়া (২২) এবং শাহাবুল মণ্ডল (২৮) ও তার স্ত্রী হাসিনা (২৫)কে গ্রেফতার শিবচর থানায় নিয়ে আসে। পরে আটককৃতদের ভাষ্য মতে থানায় অভিযোগকারী কালু মণ্ডল ও মনিরুল ইসলামও চরমপন্থি নেতা বলে পুলিশ ধারণা করে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার মিরপুর ও মেহেরপুরের গাংনী থানায় ফোন করে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানেন ওরা সকলেই নিষিদ্ধ ঘোষিত জনযুদ্ধ দলের স্থানীয় ক্যাডার ও সন্ত্রাসী।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. জলিল জানান, গ্রেফতারকৃত কালু মণ্ডল কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ১১নং তালিকাভুক্ত চরমপন্থি দরেলর ক্যাডার এবং শাহাবুল ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এছাড়া অন্যান্যরা একাধিক মামলার পলাতক আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের ৮টি সিম, ৪টি মোবাইল ফোনসেট, কয়েকটি আইডি কার্ড ও পাউডার জাতীয় দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কুষ্টিয়া থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত হাসিনা ও সুমাইয়া বলেন, আমাদের মধ্যে কালু মণ্ডল জনযুদ্ধের সক্রিয় নেতা। এক সাথে ৩ হত্যাসহ অসংখ্য হত্যা ও ঘটিয়েছে। ওই আমাদের এই লাইনে আনছে। ওর ভয়ে আমরা এলাকা ছাড়ছিলাম। শিবচর এলাকায় কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের আরও অনেক লোক আছে। তারা মাঝে মধ্যেই আমাদের বাসায় আসত ওদের সঙ্গে কথা বলতে।
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment